নিজস্ব প্রতিবেদন : নন্দিগ্রামের ভোটের পর যদি আর কোন এলাকা ভোটের চর্চায় থেকে থাকে তা হল অনুব্রত গড় বীরভূম। তবে অষ্টম দফা ভোটের দিন বীরভূম চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেও অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকগুণ শান্তিপূর্ণ ভোট এদিন লক্ষ্য করা গেল বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে। নানুর, ময়ূরেশ্বর, ইলামবাজার এবং বোলপুরের মত এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া আর কোনো অশান্তি ছবি ধরা পড়েনি। আর এমনটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
ভোটের সময় বীরভূমে যিনি সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন সেই দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এদিন সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই কাটালেন। তারপর বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইকে চেপে বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচুপট্টির ভাগবত নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করলেন। অন্যান্য বছর আরও আগে তাকে ভোট দিতে যেতে দেখা গেলেও এই বছর অনেকটা পরেই তাকে ভোট দিতে যেতে দেখা গেল। পাশাপাশি অন্যান্য বছর কেবলমাত্র নিজের কর্মীদের নিয়েই ভোট দিতে গেলেও এবছর তার সাথে ছিলেন তার মেয়ে।
পাশাপাশি অন্যান্য বছর ভোট দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেও এই বছর তাকে কথা বলতে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষ এবং একাধিক সাংবাদিক তাকে ঘিরে ধরলো তিনি জানান যা বলার দলীয় কার্যালয়ে বলা হবে। তবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দাবি ভোটের ফলাফল ভালো হবে। একইভাবে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি এবারের ভোটের ফলাফলে বিজেপি যেমন ভাল ফলাফল করবে ঠিক তেমনই চরম বেগ পেতে হবে তৃণমূলকে।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে বীরভূমে এদিন ভোটদানের যে পরিসংখ্যান লক্ষ্য করা গিয়েছে তা বেশ উল্লেখযোগ্য। বীরভূমের ১১টি বিধানসভায় বিকেল ৩ টে পর্যন্ত গড়ে ৭৩.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে সাঁইথিয়া বিধানসভায় ৭৬.৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে
সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিউড়ি বিধানসভায় ৬৮.৩৩ শতাংশ। আর এই জেলার পরিসংখ্যান বিকেল পাঁচটায় পৌঁছে যায় ৮১.৮৭ শতাংশে।