নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। উপসর্গহীন অথবা সামান্য উপসর্গ থাকা রোগীদের হোম আইসোলেশনে থাকার সময় কি কি বিষয়ের নজর রাখতে হবে তার বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রোগীদের কড়াভাবে যে বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে
১) বাড়িতে থাকলেও এখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখতে হবে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক ও কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন সদস্যদের ধারে কাছে যাওয়া যাবে না। এছাড়াও কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, হাইপারটেনশন ছাড়াও রেনাল ডিজিজ রয়েছে এমন সদস্যদের থেকেও দূরে থাকতে হবে।
২) হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় রোগীকে সবসময় মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর মাস্ক ভিজে গেলে বদলে ফেলতে হবে। যিনি রোগীর দেখাশোনা করবেন তাকে রোগীর ঘরে প্রবেশ করার সময় এন-৯৫ মাস্ক পড়তে হবে এবং সেই সময় রোগীকেও এন-৯৫ মাস্ক পড়তে হবে।
৩) রোগীর ব্যবহার করা মাস্ক ফেলে দেওয়ার সময় ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে তাকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৪) হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর জন্য যে ঘর ব্যবহার করা হবে সেই ঘরে যেন সর্বদা হাওয়া বাতাস খেলতে পায়।
৫) শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
৬) করোনা হওয়ার আগে কোনো রোগ থাকলে সেই রোগের জন্য ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চালিয়ে যেতে হবে।
৭) জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে।
৮) ৬৫০এমজি প্যারাসিটামল দিনে চারবার খেয়েও যদি জ্বর না কমে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনে আপনার ওষুধ পরিবর্তন করে দেবে।
৯) তিন থেকে পাঁচদিন রোগীকে খালি পেটে ইভারমেকটিন ২০০ এমসিজি নিতে হবে।
১০) নিয়ম করে দিনে দুইবার গরম জলের গার্গেল এবং উষ্ণ গরম জলের ভাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
১১) ৫ দিন পর রোগীর জ্বর কাশি না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিকল্প রাস্তা হিসাবে বুডেসনাইড ৮০০ এমসিজি দিনে দুবার করে ইনহেলারের মাধ্যমে ৫-৭ দিন রোগীকে নিতে হবে।
১২) হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় কোনো ভাবেই রেমডেসিভির নেওয়া যাবে না। তা নিতে হলে কোন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে নিতে হবে।
১৩) স্টেরয়েড নেওয়া একেবারেই উচিত নয় বলে জানানো হয়েছে। তবে কোন রোগের ক্ষেত্রে যদি সাত আট দিন ধরে কাশি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওরাল স্টেরয়েড নেওয়া যেতে পারে।
Ministry of Health has revised home-isolation guidelines for mild or asymptomatic #Covid cases. Refer to the detailed guidelines here.#IndiaFightsCorona @MoHFW_India @PIB_India@MIB_India @drharshvardhan
(Thread) pic.twitter.com/JsYuS9WE2r
— MyGovIndia (@mygovindia) May 5, 2021
১৪) অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
কারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন?
[aaroporuntag]
উপসর্গ নেই অথচ ল্যাব টেস্টে পজিটিভ হওয়া রোগীরা হোম আইসোলেশনে থাকবেন। তবে তাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অবশ্যই ৯৪ শতাংশের বেশি হতে হবে।