নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ৪৩ বিধায়ক যখন রাজভবনে মন্ত্রিত্বের জন্য শপথ গ্রহণ করছেন ঠিক সেইসময় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা বিজেপির দপ্তরে বসেন পরিষদীয় বৈঠকে। সেখানেই বেছে নেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের দলনেতা অর্থাৎ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে। বিধানসভার এই বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌঁড়ে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন মুকুল রায়। তবে শেষমেষ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ঘাড়েই এই দায়িত্ব দেওয়া হলো।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ফোকাস ছিল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এরপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর উপরই বিরোধী দলনেতার ভার আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে সেটাই হলো। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার পাশাপাশি বিধানসভার মুখ্য সচেতক হলেন মনোজ টিগ্গা।
[aaroporuntag]
বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে এই বাছবিচারের পর অবশেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন মুকুল রায়। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে কেমন ভাবে নিচ্ছেন তাও স্পষ্ট করলেন তিনি। তবে এর আগে প্রথমেই তিনি বিরোধী দলনেতার দৌঁড়ে থাকছেন না তা স্পষ্ট করে দেন বয়সের কারণ দেখিয়ে। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা হিসেবে সবাই শুভেন্দু অধিকারীকে দেখতে চাইছেন। শুভেন্দুর হাতে ব্যাটন দেওয়া হয়েছে। ও দৌঁড়াবে আর আমরা নিশ্চিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। শুভেন্দু একজন যোগ্য সহকর্মী। ওকে মাথায় রেখেই আমাদের লড়াইটা চালাতে হবে। যে আশা নিয়ে আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম সেটা হয়তো পূরণ হয়নি তবে লেগে থাকলে সোনার বাংলা গড়তে পারবো।”