নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির বাংলা দখলের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল ২০০ পার করা। কিন্তু নির্বাচনে তারা তাদের সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো তো দূরের কথা ১০০ পার করতে পারেনি। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ২৫ গুণ বিধায়ক বাড়িয়েছে তারা। কিন্তু এবার এই বিধায়কদের মধ্যে দুজন ছাড়তে চলেছেন বিধায়ক পদ।
তবে যে দু’জন বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন তারা দলের প্রতি ক্ষোভ অথবা অন্য কোন কারণে নয়, বরং কেন্দ্র ও রাজ্য দুই নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই। আর এই সিদ্ধান্তের কারণে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৭৫।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাদের যে ২৯৩ জন প্রার্থী ঘোষণা করে তাদের মধ্যে বেশ পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন সাংসদ (লোকসভা ও রাজ্যসভা)। তবে অধিকাংশ সাংসদ প্রার্থীই পরাজয়ের মুখ দেখলেও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় পান বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর এই জয়ের পরই টালবাহানা শুরু হয় এই দুই বিজেপি নেতা সাংসদ পদ টিকিয়ে রাখবেন নাকি বিধায়ক পদ। কারণ দুটি পদ একসাথে টিকিয়ে রাখার মত কোন পথ দেখানো নেই সংবিধানে।
যে কারণে এই দুই বিজেপি নেতার পদ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গত শনিবার একটি বৈঠক করে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই দুই নেতা সাংসদ পদই টিকিয়ে রাখবেন। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত দলীয়ভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে এটাও ঠিক যে নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার এখনো পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেননি। জানা যাচ্ছে খুব দ্রুত তারা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
এই দুই নেতা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে পুনরায় দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। অন্যদিকে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি আরও দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। যে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে খড়দহ। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী কাজল সাহার মৃত্যু হয় ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই এবং ফলাফলে দেখা যায় তিনি জয়ী হয়েছেন।
[aaroporuntag]
আবার অন্যদিকে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ভোটে হারার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবিধানের নিয়ম অনুসারে তাকেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোন একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় হাসিল করে আসতে হবে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের দুই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ হয়নি। অর্থাৎ সমস্ত পরিস্থিতির বিচারে পশ্চিমবঙ্গে পুনরায় ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।