নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্যসমাপ্ত হওয়া বিধানসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর গেরুয়া শিবিরের একাংশ বারংবার পুনর্গণনার দাবি তুলেছিলেন। জেলা স্তরের নেতাদের একাধিক জায়গায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি তুলতে দেখা গিয়েছিল। আর এই সকল দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে কিছুটা হলেও ঘি ঢাললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মূলত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে পুনর্গণনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তৃণমূল। আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথাতে আদালতে যাওয়ার জল্পনা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এটিকে পাল্টা কৌশল বলেও মনে করছেন।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “পুনর্গণনার বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের ১ ঘণ্টার মধ্যে পুনর্গণনার আবেদন করা যেতে পারে। এর কিছু আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। তার চিন্তা ভাবনা চলছে। তেমনটা সম্ভব হলে আদালতে আবেদন করা যেতে পারে।”
জানা যাচ্ছে, যে সকল আসনে বিজেপি দুই হাজারের কম ভোটে হেরেছে সেই সকল আসনের পুনর্গণনার জন্য আদালতে মামলা করতে পারে। তবে বিজেপির এই হুঁশিয়ারিকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ভোট গণনায় কোন রকম গাফিলতির অভিযোগ থাকলে আদালতে যাওয়া যায়। তবে আদালতে তা প্রমাণ করতে হবে।
দিলীপ ঘোষের দাবি অনুযায়ী, “পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলায় গত দু’বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে যে সকল কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল সেই সকল কেন্দ্রে এবার সামান্য ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীদের পরাজয় হতে হয়েছে। ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। দুই হাজারের কম ভোটে হারা কেন্দ্রগুলিতে পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করা হবে।”
[aaroporuntag]
অন্যদিকে এরপর তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে রিকাউন্টিং করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশন তাতে সায় দেয়নি। আমার বিশ্বাস এদের ক্ষেত্রেও এমনটাই হবে। আবার এখন ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। বিধায়কদের শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় পুনর্গণনা চাওয়া অযৌক্তিক।