নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব ফেলতে দেখা না গেলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিশুদের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে হাজার হাজার শিশু আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতে থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত এই সংক্রমণের সংখ্যার গ্রাফ নিম্নমুখী হতে দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ৪ লাখের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, ছোট থেকে বড় সমস্ত শিশুদের মধ্যে করোনার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আশার আলো এটাই যে, শিশুরা আক্রান্ত হলেও আক্রান্তের হার অনেক কম এবং তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে এ ক্ষেত্রে শিশুদের আক্রান্ত হওয়া এবং উপসর্গের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগে শিশুদের মধ্যে করোনার প্রভাব হিসাবে জ্বর এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু বর্তমানে আরো কতগুলি উপসর্গ এর সাথে জুড়েছে।
১) লক্ষণ হিসেবে বর্তমানে পেটে ব্যথা নজরে আসছে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল। অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, ফোলা ভাব ইত্যাদি করোনার লক্ষণ হতে পারে।
২) হজমজনিত সমস্যা, পেট ফেঁপে যাওয়া, পায়খানা, বমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি করোনার লক্ষণ হতে পারে।
৩) মাঝারি অথবা ভারী জ্বর, শীত অনুভব করা, গায় হাতে ব্যথা ইত্যাদি ৫ দিন স্থায়ী হলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে দু-তিন দিনের ব্যবধানেও জ্বর আসছে।
৪) দীর্ঘ সময় ধরে সর্দি কাশি অথবা গলাব্যথা না সারলে যতটা সম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং ঘুম কমে যাওয়া লক্ষ্য করা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এগুলিও করোনার লক্ষণ হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহল।
[aaroporuntag]
৬) ফুসকুড়ি অথবা গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার সবথেকে সাধারণ লক্ষণ বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন।