আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর মৃত্যু বীরভূমে, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। আর এই ঘটনায় বীরভূমের বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া এমনই এক বিজেপি কর্মী গত সপ্তাহে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দ্বারা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। আর সেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল রবিবার।

Advertisements

জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম জাকির হোসেন। বয়স আশির বেশি। তিনি বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত কোট গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। পূর্বে তিনি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানও ছিলেন। তবে পরে বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তার শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় আজ তাকে কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। এই স্থানান্তরিত করার সময়ে তিনি রাস্তায় প্রাণ হারান।

Advertisements

বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চ্যাটার্জী অভিযোগ করেছেন, “ভোট-পরবর্তী অশান্তির জেরে আমাদের এই বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন গ্রামছাড়া ছিলেন। এরপর তিনি গত ৮ তারিখ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করলে তিনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই তার একটি হাত এবং একটি পা ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও শরীরে আরও একাধিক জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আজ কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করার সময় তিনি প্রাণ হারান।”

Advertisements

অন্যদিকে এই ঘটনার পর অতনু চ্যাটার্জি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকার অবিলম্বে এই অশান্তি না থামালে বিজেপি কর্মীরাও আর বসে থাকবে না। এরপর যদি বীরভূমের কোন কর্মীর গায়ে কোনো রকম হাত পড়ে তাহলে পাল্টা উত্তর দেবে আমাদের কর্মীরা।”

[aaroporuntag]
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “এর সাথে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত শত্রু কয়েক’শ। আর এই ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আমরা এইরকম কোন ঘটনাকে সমর্থন করি না।”

Advertisements