লকডাউনে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ালো পুলিশ, বীরভূম জেলায় মানবিক উদ্যোগ

Himadri Mondal

Updated on:

হিমাদ্রি মন্ডল : দেশ তথা রাজ্যে ভয়ঙ্করভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পরার পর সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এই কড়া বিধি নিষেধ পূর্ণ লকডাউন না হলেও তা কার্যত লকডাউন। এই কার্যত লকডাউনে যখন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা কাজ হারিয়ে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন, সেই সময় বীরভূম জেলা পুলিশের মানবিক রূপ দেখা গেলো।

জেলার দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বীরভূম জেলা পুলিশের সিউড়ি থানার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার থেকে শুরু করা হলো বিনামূল্যে রান্না করা দুপুরের খাবার প্রদান করা। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সূচনা করেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের সামনে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় এবং এখান থেকে প্রতিদিন কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রদান করা হবে।

বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, “আমরা সব সময় চাই মানুষের পাশে থাকতে। যে কারণে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করবো আগামী দিনে বীরভূম জেলার যতগুলি শহরকেন্দ্রিক থানা রয়েছে প্রতিটি থানায় যেন এই বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার বন্দোবস্ত করা যায়। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ জনের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত থাকছে।”

পাশাপাশি নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানান, “বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ করার সময় আমাদের আরও মানবিক হতে হবে। আর সেই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেই এই পদক্ষেপ। আগামী যতদিন এই কড়া বিধি-নিষেধ জারি থাকবে যতদিন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষগুলির কাজকর্ম বন্ধ থাকবে ততদিন এই উদ্যোগ চলবে।”

বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে দুঃস্থ দরিদ্রদের আজ থেকে এই যে খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে থাকছে পুষ্টিকর মেনু। কোনদিন ডিম, ডাল ভাত, কোন দিন আবার খিচুড়ি ইত্যাদি মেনুতে থাকবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। আর এইভাবে এই অসময়ে বীরভূম জেলা পুলিশকে পাশে পেয়ে খুব খুশি দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা।

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, লকডাউন চলাকালীন গত বছর থেকেই বীরভূম জেলা পুলিশকে সবসময় আমজনতার পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। আর সেই ধারাবাহিকতায় এখনও বজায় রয়েছে। কখনো খাবার প্রদান, কখনো আবার করোনা আক্রান্ত অথবা বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র পাঠিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে জেলা পুলিশকে।