নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার থেকেই নারদ কান্ডে নতুন নতুন মোড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হঠাৎ রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ এক বিধায়ক ও এক প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। পরে আবার তাদের নিম্ন আদালতে জামিন হলেও হাইকোর্টে জামিনে স্থগিতাদেশ জারি হয়। এরপরই সিবিআই এই মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানায়। আর এবার এই মামলায় নয়া মোড় হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইন মন্ত্রীকে পক্ষ করা হলো সিবিআই-এর তরফ থেকে।
বুধবার সিবিআই-এর তরফ থেকে একটি নোটিশ করা হয়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পক্ষ করা হয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, তাদের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই রাজ্যে এই মামলার শুনানির মতো পরিবেশ নেই। ধৃত এই চার হেভিওয়েটকে দপ্তরে আনা হলে নিজাম প্ল্যালেসে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে আদালতে শুনানি চলার সময় আদালতে বসেছিলেন আইন মন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রী। আর এই সকল হেভিওয়েটদের উপস্থিতি বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে দাবি করেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাই তারা এই মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চান। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যদের এই মামলায় যুক্ত করা না হলে সিবিআইয়ের আইনজীবীর এই দাবির ভিত্তি থাকত না বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের জেল হেফাজত হলে সেদিন রাতেই জেল থেকে হাসপাতালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্থানান্তরিত করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও ফিরহাদ হাকিমের শরীরে জ্বর থাকলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন নি।