নিজস্ব প্রতিবেদন : যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। ছোট থেকে বড় এখন অধিকাংশ মানুষই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। আর এই বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমে ভরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুসময় অবাঞ্ছিত ভাবেই বেশ কিছু জিনিসকে ভাইরাল হতে দেখা যায়। এমনকি তা কি কারণে ভাইরাল হচ্ছে তাও অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না।
গতবছর লকডাউন চলাকালীন ঠিক একইভাবে ভাইরাল হয়েছিল ‘বিনোদ’ কথাটি। আর এবছর লকডাউন চলাকালীন একইভাবে ভাইরাল হলো ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলি ফার্নিচার’। বুধবার থেকে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা ছাড়াও স্যান্ডি থেকে দেবাংশুর মত বহুজনকে এনিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে। আসলে এর রহস্যটা কি?
বাংলাদেশের গাজীপুরে একটি ঘরোয়া জিনিসপত্র অর্থাৎ ফার্নিচারের দোকান যার নাম হলো ‘কাকলি ফার্নিচার’। দোকানের ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য ওই দোকানের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয় এবং তারা তাদের ফেসবুক পেজে ছাড়া হয়। সেই বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, দুজন ফুটফুটে শিশুকে কখনো দোকানের সোফার মধ্যে লাফাতে, আবার কখনো আরামকেদারায় দোল খেতে। আর ওই বিজ্ঞাপনের ভিডিওর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলি ফার্নিচার।’
আসলে ওই দুই শিশুকে নিয়ে তৈরি করা এই বিজ্ঞাপনের ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েসই মন জয় করেছে নেটিজেনদের। অন্যান্য বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় নিজেদের ব্যবসার ট্যাগলাইন ছাড়াও আরও কিছু বক্তব্য যোগ করতে। কিন্তু এক্ষেত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে কেবলমাত্র ‘দামে কম, মানে ভাল, কাকলি ফার্নিচার।’ আর এই বিজ্ঞাপন ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানান ধরনের মিম।
[aaroporuntag]
বর্তমানে এই বিজ্ঞাপন এতটাই ভাইরাল হয়ে পড়েছে যে তা ছাপিয়ে গিয়েছে করোনা এবং নারদ কান্ডকেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর মিমে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘বিয়ের বাসর থেকে ফুলশয্যা, এমনকি শবদেহ বহনের জন্যও কাকলি ফার্নিচার’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘হাড় ভাঙলেও কাকলি ফার্নিচারের খাট ভাঙবে না’। অবশ্য এই ভাবে মিম তৈরি করার জন্য ওই ফার্নিচার দোকানের তরফ থেকে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করা হয়নি। বরং তাদের ব্যবসার বিজ্ঞাপন আরও ছড়িয়ে পড়ায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।