নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’। এমনটাই ভারতবর্ষের বিশেষত্ব। তবে মাঝে মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা সবকিছু নাড়া দিয়ে ওঠে। কিন্তু সেই সকল বিচ্ছিন্ন ঘটনায় যে ভারতের পরিচয় এমনটা হতে পারে না। আর সেটাই প্রমাণ করলেন কেরলের এক চিকিৎসক।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে এক মুসলিম মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে কেরলের পলাক্করের পতম্বির সেবানা হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হন। পরে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। প্রথম থেকেই ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক রেখা কৃষ্ণা। অন্যদিকে তার শারীরিক অবস্থার যে কোনরকম উন্নতি হচ্ছে না তা ওই মহিলার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। কিন্তু যেহেতু ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত ছিলেন তাই পরিবারের কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।
আর এই পরিস্থিতিতে ওই চিকিৎসক যখন বুঝতে পারেন যে ওই রোগীর নাড়ির স্পন্দন আস্তে আস্তে ধীর হতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় তিনি ওই রোগীর কানের কাছে ধীরে ধীরে কলমা পড়তে শুরু করেন। কলমা পড়া মাত্রই দেখা যায় ওই রোগী দীর্ঘ শ্বাস ফেলছেন। তারপরেই ওই রোগী মারা যান। আর এইভাবে মুসলিম রোগীর কানে কলমা পড়ে নজির সৃষ্টি করেছেন ওই হিন্দু চিকিৎসক। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছেন, মানবতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন ওই চিকিৎসক।
"I don’t think mine is a religious gesture, it’s a humane act"
~ Dr. Rekha Krishna pic.twitter.com/CEugT0FNNf— Mohammed Zubair (@zoo_bear) May 21, 2021
[aaroporuntag]
পরবর্তীতে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, দুবাইয়ে পড়াশোনা করার কারণে মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানা আছে। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মৃত্যুর পথযাত্রী ওই মুসলিম রোগীর কানে কলমা পড়ে শুনিয়ে ছিলাম।