নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটের থেকেও বেশি ট্রেন্ডিং ছিলেন তৃণমূলের বেসুরো নেতা-নেত্রীরা। এই একঝাঁক বেসুরো নেতা নেত্রীদের দলবদল করতে দেখা গিয়েছিল ভোটের আগে। তারপর ভোট, ভোট শেষে ফলাফল। তবে এরপরেও এই বেসুরো একাধিক নেতা নেত্রী এখনও ট্রেন্ডিং।
ভোটের আগে জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম ফুলে যাওয়া একাধিক নেতা নেত্রীকে বর্তমানে পদ্ম শিবির ত্যাগ করতে দেখা যাচ্ছে। শুধু ত্যাগ করা নয় পাশাপাশি অনেককেই সরাসরি ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলের খেলার আবেদন করতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক যেমন সোনালী গুহ। মূলত ভোটের আগে জয়ের জন্য বিপুল প্রত্যাশিত গেরুয়া শিবির ভোটের ফলাফলে ধরাশায়ী হয়। আর এর পরেই এবারও ভোটের আগের মতোই দলবদলু ওই সকল নেতা-নেত্রীরা বেসুরো। আর এই সকল বেসুরো নেতা-নেত্রীদের জন্য এবার নতুন একটি ফর্ম প্রকাশ করলেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। যেখানে মোট নয়টি প্রশ্ন রয়েছে। যার মধ্যে জানাতে হবে, ‘২ মে’র কিভাবে কাটছে? কেঁদে কেঁদে না কপাল ঠুকে ঠুকে।’
তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য তার এই বিশেষ ফর্মের নাম দিয়েছেন, ‘বেসুরো স্বীকারোক্তি ফর্ম’। যে ফর্মে থাকা ৯টি প্রশ্ন উত্তরের মধ্যে জানাতে হবে আবেদনকারীর নাম, কোন বিধানসভার, কোন লোকসভার এবং কোন জেলার। এরপর জানাতে হবে বেসুরো হওয়ার সময়, বেসুরো হওয়ার কারণ, সুর ফিরে পাওয়ার কারণ, ২ তারিখের পর থেকে সময় কাটছে কিভাবে, আপনি কি নিজেকে ধান্দাবাজ মনে করেন?
এরপর এই ফর্ম ফিলাপ করার সাথে সাথে আবেদনকারীকে ফর্মে থাকা প্রতিটি উত্তর সজ্ঞানে দিয়েছেন তার স্বীকারোক্তি করতে হবে। অর্থাৎ তারিখ দিয়ে সই করতে হবে। সম্প্রতি হিমাংশু ভট্টাচার্য্য তার এই বিশেষ ফর্মটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, গতকাল ভোটের আগে দল ত্যাগ করা সাতগাছিয়া প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খোলা চিঠি লিখে দলে ফেরার আবেদন জানানোর পর এই দেবাংশ ভট্টাচার্যের মস্তিষ্ক থেকে এমন অভিনব ফর্ম বেরিয়ে আসে। তার পরেই তিনি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।