নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে প্রাণ হারালেন রাজ্যের আরও এক প্রবীণ রাজনীতিবিদ মইনুদ্দিন শামস। তিনি ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নলহাটি বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। তৃণমূলের টিকিটে ২০১৬ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আর এই প্রাক্তণ বিধায়ক রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন।
জানা গিয়েছে, ভোটের ফলাফলের পর তার শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তার পর চিকিৎসকরা তাকে করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরীক্ষায় ৫ মে তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এরপর তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে করোনামুক্ত হয়েই তিনি দিন চারেক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবে এর মাঝে আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রবিবার সকালে প্রয়াত হন।
মইনুদ্দিন শামস ২০১৬ সালে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দল তাকে টিকিট দেয়নি। আর এই ঘটনার পরই তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দল ত্যাগ করেন এবং নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও ভোটের ময়দানে সেই প্রতিদ্বন্দিতায় তিনি জয় হাসিল করতে পারেননি। আর ভোটের ময়দানে হেরে যাওয়ার পর জীবনযুদ্ধেও তাকে হার মানতে হলো।
[aaroporuntag]
মইনুদ্দিন শামস কেবল মাত্র একজন বিধায়ক ছিলেন তাই নয়। মইনুদ্দিন শামস এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সাথে যুক্ত। তার বাবা কলিমুদ্দিন শামস ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। মইনুদ্দিন শামসও একসময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। তবে তিনি পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এবং পরে আবার তৃণমূল ত্যাগ করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।