ঘূর্ণিঝড়ের গঠন কেমন? ঘূর্ণিঝড় কত রকমের ও কি কি?

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রির বেশি হলে সেখানে নিম্নচাপ তৈরি হয়। প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠতে শুরু করে। যে কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর একটি বায়ুশূন্য অঞ্চল তৈরি হয়। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে শীতল ও ভারী বাতাস উড়ে আসে। আর এই দ্রুতগতিতে আসা বাতাস ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি করে। এক কথায় নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া ঝড়ই হলো ঘূর্ণিঝড়।

Advertisements

ঘূর্ণিঝড়ের ভাগ

Advertisements

গতিবেগ অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের ৫টি ভাগ রয়েছে। যে গুলি হল ট্রপিক্যাল সাইক্লোন, সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম, ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম, এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম এবং সুপার সাইক্লোন।

Advertisements

ট্রপিক্যাল সাইক্লোন : ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর যে সকল ঘূর্ণিঝড়ের ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত তাদের বলা হয় ট্রপিক্যাল সাইক্লোন।

সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম : ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে বলা হয় সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম।

ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম : যেসকল ঘূর্ণি ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১১৮ কিলোমিটার থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে তাদের বলা হয়ে থাকে ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম।

এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম : ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ থেকে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হলে তাকে বলা হয় এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম।

সুপার সাইক্লোন : যে সমস্ত ঘূর্ণি ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি তাদের সুপার সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে।

ঘূর্ণিঝড়ের গঠন

গঠনের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের চারটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেগুলি হল চোখ, মেঘের দেওয়াল, স্পাইরাল ব্যান্ড এবং বহিঃসীমা অঞ্চল।

চোখ : ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রকে বলা হয় ঘূর্ণিঝড়ের চোখ। আর এই চোখের চারপাশে থাকে বাকি ঘূর্ণিঝড়ের মেঘের দেওয়াল, স্পাইরাল ব্যান্ড এবং বহিঃসীমা।

মেঘের দেওয়াল : ঘূর্ণিঝড়ের চোখ অর্থাৎ কেন্দ্রের চারপাশে যে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের আস্তরণ তৈরি হয় তাকে বলা হয় মেঘের দেওয়াল। ঘূর্ণিঝড়ের এই অংশটি ১০-২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

স্পাইরাল ব্যান্ড : মেঘের দেওয়াল কে ঘিরে থাকে দুটি স্পাইরাল ব্যান্ড। এটি কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকতে পারে। এই স্পাইরাল ব্যান্ড যেসকল এলাকার উপর দিয়ে বিরাজ করে সেখানে তীব্র বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে একে রেইন ব্যান্ডও বলা হয়ে থাকে।

[aaroporuntag]
বহিঃসীমা অঞ্চল : ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বাইরের অঞ্চল হল বহিঃসীমা অঞ্চল। কোন ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের প্রবেশ করার আগে সবার প্রথম এই অঞ্চলের প্রভাব পড়তে শুরু করে।

Advertisements