নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বর্তমানে ঝাড়খন্ডে পৌঁছে শক্তি হারিয়েছে। তবে শক্তি হারিয়ে তা পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। আর এই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার দরুন ঝাড়খন্ড সহ পশ্চিমবঙ্গের ৯ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির উচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নদীতে জলস্তর বাড়বে এবং তা নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেখানে আগামী কয়েকদিন একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টির কারণে একাধিক নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তেমন কি পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হলে বন্যার ভ্রুকুটিও থাকছে বলে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের উপর প্রবল বৃষ্টি হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খন্ড লাগোয়া জেলা বীরভূমের উপর। এমনিতেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভূখন্ডে আছড়ে পড়ার আগে থেকেই বীরভূমের একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের রেস্কিউ সেন্টারে আনা হয় এবং সেখানে তাদের রাখা হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যদি ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টি দেখা দেয় তাহলে বীরভূমের মহঃবাজার সহ একাধিক এলাকা এবং এলাকার বাসিন্দারা অসুবিধার সম্মুখীন হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
মূলত ঝাড়খণ্ডের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হলে সেখানকার নদীগুলিতে জলস্তর বাড়লে তাদের সেচ দপ্তর একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়তে পারে। আর সেই জল ছাড়া হলে তা সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের জলাধারগুলি থেকেও জল ছাড়তে হবে। আর এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ দপ্তরকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে এই গভীর নিম্নচাপের কারণে পশ্চিমবঙ্গের যে সকল জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি এবং বন্যার সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়াতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।