হিমাদ্রি মন্ডল : বিধানসভা ভোট পরবর্তীতে সিউড়ি শহরকে সাজিয়ে তুলতে এবং বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণের জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত সিউড়ি পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলী, বিধায়ক এবং সাংসদ যৌথভাবে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে এক দফা বৈঠক হয়ে গেল সোমবার। আর সেই বৈঠক থেকেই বেশকিছু পরিকল্পনার কথা উঠে এলো।
বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় জানান, শহরের সব থেকে বড় একটি সমস্যা হল পানীয় জলের সমস্যা। সেই পানীয় জলের সমস্যা কিভাবে মেটানো যায় তার দিকে আমরা নজর দিচ্ছি এবং পরবর্তী পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এর পাশাপাশি তিনি সিউড়ি সড়কে যানজট মুক্ত এবং সৌন্দর্যায়ন করার কথাও বলেন।
যানজটমুক্ত এবং সৌন্দর্যায়ন করার পরিকল্পনা হিসাবে তিনি জানান, আমরা আগামী দিনে এই শহরকে সাজিয়ে তোলার জন্য কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি তা নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। যেগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে ডিভাইডার দেওয়া, নানান ধরনের আলোর মধ্য দিয়ে সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
এর পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডকে স্থানান্তরিত করার বিষয়টিও। তিনি জানান, যদি বাসস্ট্যান্ডকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া যায় তাহলে সিউড়ি শহরের যানজট অনেকটাই মুক্ত হবে। এই দিকটিও খুব দ্রুত ভেবে দেওয়া হচ্ছে।
যদিও এর আগেও একাধিকবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড বর্তমান স্থান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে সেই পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পাশাপাশি এই বাসস্ট্যান্ড সিউড়ি শহরের একপ্রকার কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় অনেকটাই সুবিধাদায়ক। সেই জায়গায় যদি বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয় সেক্ষেত্রে প্রশাসনের কি পরিকল্পনা রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যদিও শতাব্দী রায় এর আগের পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণ হিসেবে জানান, “বছরের পর বছর ধরে করোনা এবং মাঝে ভোট থাকার কারণে অনেক পরিকল্পনায় স্থগিত হয়ে যায়। এখন আমরা সেগুলিকে পুনরায় নতুন করে শুরু করছি।”