নিজস্ব প্রতিবেদন : বয়স এখনো দশ বছর পার হয়নি, সে এখনো প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডিতেই। তবে এই অল্প বয়সেই যেভাবে করোনা সচেতনতায় নেমে পড়েছে তা অনন্য নজির ছাড়া আর কিছু নয়।
আমরা যার কথা বলছি সেই খুদে হলো সৃক্কণী ঠাকুর। বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরের সাঁইথিয়া পালির মোড়ের বাসিন্দা। সৃক্কণী এখন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তবে এই অল্প বয়সেই গান গাওয়াটা বেশ রপ্ত করে নিয়েছে সে। আর সাথে সাথেই তার কন্ঠকে যেন করোনা সচেতনতায় ব্যবহার করা হয় সেই জন্য এই খুদে শিল্পী ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে সাঁইথিয়ার পথ প্রদর্শক নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নেমে পড়েছে।
সম্প্রতি সাঁইথিয়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই খুদে শিল্পী গান গেয়ে আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই খুদে বেছে নিয়েছে বহুল প্রচলিত বাংলা গান ‘পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে….’। সেই গানের কথাগুলিকে তার বাবা সোমরাজ ঠাকুর বদলে দিয়ে ‘চারিদিকে আজ করোনা ভাইরে/বাঁচতে চাইলে যেওনা বাইরে’ তে রূপান্তরিত করেছেন। আর সেই গানই সে তার মিষ্টি কন্ঠে এগিয়ে চলেছে।
বর্তমান ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি থেকে আমরা বের হতে পারি আরও বেশি সচেতনতার মধ্য দিয়ে। যে কারণেই এই খুদে শিল্পী বহুল প্রচলিত গানকেই রূপান্তরিত করে করোনা সচেতনতায় জন্য প্রচারের বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, যাতে গানের সুর শোনা মাত্রই আমজনতার মনে তা বিঁধে যায়। পাশাপাশি ওই খুদে শিল্পীর গান গাওয়াও নজর কেড়েছে শহরের বাসিন্দা থেকে নেট দুনিয়ায় নেটিজেনদের।