নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের আমজনতার ন্যূনতম চাহিদা খাদ্য। আর এই ন্যূনতম চাহিদা অর্থাৎ খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করেছে। এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে ন্যূনতম খরচে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। যদিও বর্তমান করোনাকালে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে এই রেশন কার্ডে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু তথ্য ভুল দিয়ে থাকেন তাহলে তার পাঁচ বছরের জন্য জেল এবং জরিমানা অথবা যেকোনো একটি হতে পারে।
ভারতে মূলত তিন ধরনের রেশন কার্ড চালু রয়েছে। এপিএল, বিপিএল এবং অন্ত্যোদয়। দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাসকারীরা পেয়ে থাকেন এপিএল কার্ড। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারীরা পেয়ে থাকেন বিপিএল কার্ড এবং একেবারে দরিদ্র পরিবারগুলি জন্য সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয় অন্ত্যোদয়ের রেশন কার্ড।
এই তিন ধরনের রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে রেশন সামগ্রী পাওয়ার তিন রকম সুবিধা রয়েছে। অন্ত্যোদয়ের রেশন কার্ড যে সকল নাগরিকদের রয়েছে তারা বিপিএল কার্ডধারীদের তুলনায় বেশি রেশন পেয়ে থাকেন। তবে এই ক্ষেত্রে নানান জালিয়াতি নজরে আসে। আর সেই সকল জালিয়াতি রুখে দিতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রেশন কার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বহু ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় রেশন কার্ডধারী ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পরেও তার পরিবারের সদস্যরা মৃত ওই ব্যক্তির কোটায় রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন। এর পাশাপাশি অনেকেই ভুল তথ্য দিয়ে বিপিএল এবং অন্ত্যোদয়ের রেশন কার্ডের মতো কার্ড করিয়ে থাকেন। এই সকল ক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী দোষী ব্যক্তির ৫ বছরের জেল এবং জরিমানা অথবা দুটির মধ্যে যেকোনো একটি হতে পারে।
পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ঘটনা নজরে এলে যে কেউ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ জানানোর জন্য রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্র সরকারের প্রদত্ত হেল্পলাইনে অভিযোগ জানাতে হবে। এর পাশাপাশি ইমেল মারফৎ-ও অভিযোগ জানানো যেতে পারে।