নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদল অনেকদিন ধরেই আটকে রয়েছে। তবে এবার সেই রদবদল একপ্রকার নিশ্চিত বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। খবর মিলছে আগামী সাত দশ দিনের মধ্যেই এই রদবদল হতে চলেছে। আর এই রদবদলের সাথে সাথেই বাংলার একাধিক মুখ ঠাঁই পেতে পারেন এই মন্ত্রিসভায়।
পশ্চিমবঙ্গের যে সকল বিজেপি সাংসদদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নিয়ে নাম উঠে আসছে তাদের মধ্যে একজন হলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কানাঘুষো খবর দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোন এক দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও উঠে আসছে আরও একাধিক নাম।
শান্তনু ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হওয়ার দরুন বাংলাদেশ সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন। এর পাশাপাশি বিজেপি এটাও চাইবে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে না পারলেও তারা বাংলাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পাশাপাশি বাংলা থেকে দুজন মন্ত্রী হলে বাংলার বিজেপির সংগঠনেও প্রভাব পড়বে।
পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, বাংলা থেকে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা দুজন বা কমবেশি মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় তাহলে ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে বাংলায় বিজেপির যে ভাঙ্গন তৈরি হয়েছে তাকেও অনেকটা ঠেকানো যাবে।
পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে যখন দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সেই সময়ই মোদি ও শাহের সাথে দফায় দফায় এই সকল একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে একাই দিল্লিতে ডেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে বেশ গুরুত্ব দিতে চাইছেন তা স্পষ্ট।
শান্তনু ঠাকুর এবং দিলীপ ঘোষ ছাড়াও আরও যে সকল বিজেপি সাংসদদের এই তালিকায় নাম উঠে আসছে তারা হলেন লকেট চ্যাটার্জি, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামানিককেরও। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পর মাত্র দুজন দেবর্ষি চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছিলেন। তাও তারা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই জায়গা পান। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। এবারের সেই রদবদলে ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত করা হবে বলেই খবর মিলছে।