হিমাদ্রি মন্ডল : বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মুকুল রায় হুংকার দিয়েছিলেন ‘দেখতে থাকুন’। পরে পরেই তিনি বিজেপির একাধিক সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন বলে জানা যায়। এরই মাঝে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিলেন তৃণমূলে।
গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই মুকুল রায় ফের একবার নিজের মুখ খুললেন এবং বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানালেন, ‘এটা শেষের শুরু। বিজেপি যেখানে নিজেদের শক্তিশালী বলে দাবি করছে, সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই আগে ভাঙন ধরল ওই দলে। এরপর আরও দেখবেন।’ তবে মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জকে পাত্তা দিতে চান না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোমবার সিউড়িতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জের পাল্টা কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘তৃণমূলকে শেষ করতে পারে নাই, আবার বিজেপিকে’। দিলীপ ঘোষ এদিন জানান, “যে লোকটা টিএমসি শেষ করতে পারেনি সেই লোকটা বিজেপির মত অল ইন্ডিয়া পার্টি কি শেষ করবে? ঐসব লোকের কথায় কিছুই যায় আসে না। আমরা রাহুমুক্ত হয়েছি এতেই খুশি।”
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর অভিযোগ করেছেন, বিজেপি জেলার নেতাদের কখনোই গুরুত্ব দেয় না। এর পাল্টা হিসেবে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, “এতদিন তো ছিলেন। দলের জেলার দায়িত্ব তাদের উপর সঁপে দেওয়া হয়েছিল। তাদের কি কি প্রধানমন্ত্রী বানানো হবে? পার্টি যথেষ্ট গুরুত্ব এবং সম্মান দিয়েছে। যাদের পৌঁছায়নি তারা পার্টি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিন ধরে দলবদলে রাজনীতি চললেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল রাজনীতি সবথেকে বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আর সেই রাজনীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। ভোটের আগে এবং ভোটের পরে একাধিক নেতা নেত্রীদের দলবদল করতে দেখা যাচ্ছে।