করোনার ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত ৪০, কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে এই প্রজাতি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন নিয়ে চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে। জানা গিয়েছে, করোনার নতুন এই প্রজাতিতে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৪০ জনের মধ্যে ২২ জন মহারাষ্ট্রের। বাকিরা কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, জম্মু, পাঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশের। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এখন প্রশ্ন হল এই নতুন প্রজাতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।

Advertisements

Advertisements

নতুন এই প্রজাতির ডেল্টা প্লাস সংক্রমণ ছড়ানোর আগে ভারতে ধরা পড়ে বি.১.৬১৭.২। যাকে বলা হচ্ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই জায়গায় নতুন এই প্রজাতি ডেল্টা প্লাস আরও বেশি ভয়ঙ্কর এবং সংক্রামক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশন থেকেই উৎপত্তি হয়েছে নতুন ডেল্টা প্লাস বা বি.১.৬১৭.২.১ মনে করা হচ্ছে। নতুন এই প্রজাতি এন৫০১ওয়াই এবং কে৪১৭এন এই দুয়ের মিউটেশনের অভিযোজিত রূপ বলেও মনে করা হচ্ছে।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ভারতবর্ষে। তবে ডেল্টা প্লাস অর্থাৎ নতুন যে করোনা ভাইরাসের প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা প্রথম লক্ষ্য করা যায় ইউরোপের একাধিক দেশে। মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রথম এই প্রজাতি নজরে আসে।

নতুন এই প্রজাতি ভয়ঙ্কর চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের যুক্তি অনুযায়ী, এই প্রজাতি ভয়ঙ্কর চিন্তার কারণ হলো দুটি ভ্যারিয়েন্টের অভিযোজন। পাশাপাশি সাধারণ ভাইরাসে যত বেশি অভিযোজন ঘটে তা তত বেশি সংক্রামক হয়ে পড়ে। আর এই ডেল্টা প্লাস যেহেতু করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় অভিযোজন তাই তা আরও বেশি সংক্রামক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অ্যান্টিবডি ককটেল, যারা সংক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য অনেকটা ভালো ফল দেখিয়ে ছিল তাও এই নতুন ডেল্টা প্লাসের কাছে হার মানতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

যদিও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার পক্ষে নন জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ডঃ ভিকে পাল। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা এই নতুন প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে নজর রাখছি। তবে এখনো পর্যন্ত এর সংক্রমণ মাত্রা কতটা তা জানা যায়নি। আর যতক্ষণ না এই সম্পর্কিত তথ্য জানা না যাচ্ছে ততক্ষণ এই নতুন প্রজাতি উদ্বেগের কারণ তা বলা যাবে না।”

Advertisements