গৌর চক্রবর্তী : সাধারণত কচ্ছপের গায়ের রং যেমনটা হয় তার থেকে একটু আলাদা। অনেকটা হলুদ রঙের দেখতে হওয়ায় বুধবার বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাই গ্রামে একটি গ্রামে কচ্ছপ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে উদ্ধার হওয়া ওই কচ্ছপটি তুলে দেওয়া হয় সদাইপুর থানার পুলিশের হাতে।
জানা গিয়েছে, এদিন মাঝরাতে বাড়ির উঠোনে হঠাৎ একটি ছোট কচ্ছপ চলাফেরা করতে দেখতে পান ওই গ্রামের বাসিন্দা বাঁকু বাগদি। প্রথমেই তিনি কি করবেন তা বুঝতে না পারলেও পরে ওই কচ্ছপ থেকে উদ্ধার করে সযত্নে বাড়ির মধ্যে রাখেন। সকাল হতেই বনদপ্তর এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ওই কচ্ছপটি পুলিশের হাতে দিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি নিজেই।
তবে এই হলুদ রঙের কচ্ছপটি দেখে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে হইচই তৈরি হয়েছিল এটি বিরল কোন প্রজাতির কচ্ছপ। কিন্তু সেই কচ্ছপের ছবি জাতীয় বন্যজীব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাসকে পাঠানো হলে তিনি জানান, এটি কোন বিরল প্রজাতির অথবা অ্যালবিনো কচ্ছপ নয়। এটি হলো তিল কাছিম। যা আমাদের পরিবেশেই বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা জিনিস স্পষ্ট, মানুষ এখন বন্যজীব বা প্রাণীকূল নিয়ে অনেকটাই সচেতন। কারণ ওই ব্যক্তি কচ্ছপ উদ্ধার করার পর তাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতেই পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে বনদপ্তর এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন ও পুলিশের হাতে তুলে দেন কচ্ছপটির অনুকূল পরিবেশে পুনর্বাসনের জন্য। যেটা আমাদের প্রত্যেকের হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, গত দু’বছর আগেই বাড়ির মধ্যে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় উদ্ধারকারী ওই ব্যক্তি বাঁকু বাগদির স্ত্রী। তবে এদিন তিনি ওই কচ্ছপটি দেখে যাতে কচ্ছপটির কেউ কোন ক্ষতি করতে না পারেন সেজন্য তিনি নিজেই তাকে উদ্ধার করেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নেন।