নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গে এখন সবথেকে বিতর্কিত নাম যার তিনি হলেন নুসরত। তার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে সর্বত্র। নুসরতকে নিয়ে যেমন আমজনতার কৌতূহলের শেষ নেই ঠিক তেমনি আবার পদে পদে তাকে বিঁধছে বিজেপি। যদিও এই সকল কাটাছেঁড়া নিয়ে এখনো সেভাবে মুখ খোলেননি তৃণমূল অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। তবে এসবের মাঝেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
টলি জগতে এই দুই ব্যক্তির বিপুল প্রভাব। যে কারণে তারা দুজনে একসাথে কাজ করেছেন। টলিউডের পাশাপাশি এবার তারা রাজনৈতিকভাবেও এক আঙিনায়। দুজনেই শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আর সেই সকল কাজের সূত্রেই নুসরতকে নিয়ে রাজ চক্রবর্তীর যে অভিজ্ঞতা তাই তিনি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি নুসরতকে নিয়ে ওঠা প্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “আমার নুসরতকে ইন্ডাস্ট্রিতে সব থেকে বেশি বুদ্ধিমান বলেই মনে হতো। ও খুব বুদ্ধিমান মেয়ে। কিন্তু যখন ও এই সকল কথাগুলি বলছে তখন প্রেজেন্স অফ মাইন্ডে হয়তো ভুল হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস কোন কথাটা কোথায় বলা উচিত তা ও খুব ভালোভাবে জানে। অভিনেত্রী ছাড়াও ও একজন সাংসদ, একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতেও নিজেকে সংশোধন করবে। যদিও বিষয়টি তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।”
অভিনেত্রী তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের অন্তঃসত্ত্বার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চতুর্দিকে শুরু হয় নানান বিতর্ক। প্রথমদিকে অবশ্য নুসরত কোনরকম ভাবে মুখ না খুললেও নিখিল যখন জানান নুসরতের সন্তানের বাবা তিনি নন তখন হঠাৎ নুসরত মুখ খোলেন এবং বলেন, ‘নিখিলের সাথে আমার বিয়েই হয়নি, ওর সাথে সহবাস করেছি।’
আর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিজেপি নুসরতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনতে শুরু করে। বিবাহিতার বেশে পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণ করার প্রতিবাদে তার পদত্যাগ করার দাবিও তোলে তারা। আর এই সকল বিতর্ক নিয়ে যখন নুসরতের সব থেকে কাছের বন্ধু মিমি চক্রবর্তীও চুপ, সেই সময় শাসকদলের কোন এক নেতা মুখ খুললেন।