নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই শাসকদলের ৫ প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই ৫ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত অল্প ব্যবধানে হারা ৫ কেন্দ্রের ৫ প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর এবারের পাল্টা হিসেবে বিজেপির দুই প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হলেন।
বিজেপির যে দুই প্রার্থী ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা হলেন পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বিজেপি প্রার্থী। এই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং বিশ্বনাথ ব্যানার্জি তিন হাজারের কিছু কম-বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। যদিও তাদের আবেদন এখনো গৃহীত হয়নি। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি পেয়েছিলেন ৭০১১৯ ভোট। অন্যদিকে তার বিপক্ষে থাকা তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭৩৯২২ ভোট। অর্থাৎ জিতেন্দ্র তিওয়ারি তার নিকটতম তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে ৩৮০৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ ব্যানার্জি পেয়েছিলেন ৯৯৬০০ ভোট। তার বিপরীতে থাকা নিকটতম তৃণমূল প্রার্থী তিলক কুমার চক্রবর্তী পেয়েছিলেন ১০১৯৮৬ ভোট। অর্থাৎ বিশ্বনাথ ব্যানার্জি তিলক কুমার চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ২৩৮৬ ভোটে।
তবে এই দুইজন বিজেপি প্রার্থী ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হলেও তাদের সেই চ্যালেঞ্জ আদালত গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইন অনুযায়ী ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় ৪৫ দিনের মধ্যে। কিন্তু এই সময়সীমা ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। তবে বিলম্ব করে আবেদন করার কারণ হিসেবে একাধিক তথ্য পেশ করেছেন এই দুই প্রার্থী।