নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তিরথ সিং রাওয়াত ইস্তফা দেবেন এমন জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল। আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন। শপথ গ্রহণের মাত্র চার মাসের মধ্যে তিনি এই ইস্তফা দিলেন। তবে তার এই ইস্তফা দেওয়ার মূল্যে উঠে আসছে একাধিক রহস্য।
উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় বিজেপি তাকে সরিয়ে দিয়ে তার জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান তিরথ সিং রাওয়াতকে। তবে তাতেও খুব একটা স্বস্তি ফেরেনি বিজেপির। তিরথ সিং রাওয়াতের একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে। তবে তার পদত্যাগের মূলে রয়েছে অন্য কারণ।
তিরথ সিং রাওয়াত উত্তরাখণ্ড আইনসভার সদস্য নন অর্থাৎ তিনি বিধায়ক নন। এমত অবস্থায় শপথগ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব বজায় রাখতে হবে। হিসেব অনুযায়ী এমনটা করতে হলে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে উপনির্বাচনের বিবৃতি জারি করতে হবে।
এখন উত্তরাখণ্ডের যে দুটি বিধানসভা কেন্দ্র ফাঁকা রয়েছে সেই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে রাওয়াতের পছন্দের আসনেও উপনির্বাচন করাতে চাইছে না বিজেপি। কারণ উত্তরাখণ্ডে উপনির্বাচন করানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে উপনির্বাচন করাতে হবে। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্যাচে ফেলা যাবে না। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এছাড়াও উত্তরাখণ্ডে আগামী বছর রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে এই কয়েকটা মাসের জন্য পুনরায় উপ নির্বাচনের পথে হাঁটতে চাইছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিরথ সিং রাওয়াতের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নারাজ বলে সূত্রের খবর। এসকল পরিপ্রেক্ষিতেই তিরথ সিং রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।