নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারের ফেরার দু’বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটলো বুধবার। প্রথমবার এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সাথে সাথে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে এক লাফে। পাশাপাশি এই নতুন মন্ত্রিসভায় তরুণদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে শাসকদল বিজেপির তরফে। আর এই তরুণদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে। পাশাপাশি পুরাতন মন্ত্রীদেরও অনেকের গুরুত্ব বেড়েছে আবার অনেকের কমেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কাদের গুরুত্ব বাড়লো এবং কাদের গুরুত্ব কমলো।
ধর্মেন্দ্র প্রধান : মন্ত্রীত্বের পরিবর্তন ঘটেছে এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের। তিনি আগে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতেন। এখন তিনি দায়িত্ব সামলাবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের। রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
পীযূষ গোয়েল : আগে ছিলেন রেলমন্ত্রী, এখন থেকে পীযূষ গোয়েল সামলাবেন বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্ব।
স্মৃতি ইরানি : নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাবেন স্মৃতি ইরানি। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সামলাবেন বস্ত্র মন্ত্রক। অন্যদিকে স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পের দেখভালও করবেন তিনি।
অনুরাগ ঠাকুর : অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতেন। এখন তিনি পেলেন ক্রীড়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পূর্ণ দায়িত্ব।
কিরণ রিজিজু : ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এখন পেলেন আইনমন্ত্রকের দায়িত্ব।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া : কংগ্রেস থেকে আসা বিজেপির রাজ্যসভার এই সাংসদ এখন সরাসরি অসামরিক বিমান মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন।
অশ্বিনী বৈষ্ণব : নতুন রেল মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রকের দায়িত্ব।
সর্বানন্দ সোনেওয়াল : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি পেলেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের দায়িত্ব।
নিশীথ প্রামাণিক : উত্তরবঙ্গের এই সাংসদ পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।