নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন ব্যবসা অথবা অন্য কোন কিছু শুরু করার জন্য বহু মানুষেরই লোনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায় গ্যারান্টারের অভাবে ওই ব্যক্তি লোন পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে সেই সকল মানুষদের জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার আওতায় পাওয়া যেতে পারে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন। লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে তিন ধরনের ভাগ রয়েছে। শিশু-কিশোর এবং তরুণ এই তিন আওতায় ব্যাঙ্কের কাছে এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে লোন এর জন্য আবেদন করা যেতে পারে। তবে এই তিন ভাগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। ঋণের টাকার অঙ্কের হিসাবে এই যোজনায় তিন ধরনের লোনের নামকরণ করা হয়েছে।
শিশু লোন : এই পর্যায়ে আবেদনকারী ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। এর জন্য আবেদনকারীকে সুদ দিতে হবে ১০% থেকে ১২%। এই লোনের অর্থ শোধ করার সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৫ বছর। যেসকল আবেদনকারীরা প্রথম ব্যবসা শুরু করছেন তাদের জন্য এই লোন।
কিশোর লোন : যেসকল ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করার পর অর্থের প্রয়োজন মনে করছেন তারা এই প্রকল্পের জন্য লোনের আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পের আওতায় কিশর লোনের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে। সুদের হার প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করবে এবং টাকা শোধের সময়সীমা নির্ভর করবে ব্যাঙ্কের উপর।
তরুণ লোন : ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে শ্রীবৃদ্ধি করার জন্য যে সকল ব্যবসায়ীরা অর্থের প্রয়োজন মনে করছেন তারা এর মাধ্যমে ব্যাঙ্কের কাছে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পর্যায়ে আবেদনের ভিত্তিতে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে। সুদের হার এবং পরিশোধের সময়সীমা ব্যাঙ্ক ধার্য করবে।
কোন ধরনের ব্যবসার জন্য এই লোন পাওয়া যেতে পারে
ট্র্যাক্টর, অটোরিকশা, ট্যাক্সি, ট্রলি, পণ্য পরিবহনের যানবাহন, ৩ চাকার গাড়ি, ই-রিকশা ইত্যাদি বাণিজ্যিক যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে এই লোন পাওয়া যেতে পারে।
সেলুন, জিম, সেলাইয়ের দোকান, ওষুধের দোকান, জিনিসপত্র মেরামতির দোকান এবং ড্রাই ক্লিনার্স, ফটোকপি ইত্যাদির দোকান খোলার জন্য জন্য আবেদন করা যেতে পারে।
কৃষি বিপণন কেন্দ্র, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, পোলট্রি, মাছ চাষ, মৌমাছি পালন, পশুসম্পদ পালন, কৃষি-শিল্প, ডেয়ারি ইত্যাদির ব্যবসা শুরু করার জন্য এই ঋণের আবেদন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।