নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর প্রথমবারের জন্য মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং সম্প্রসারণ করা হলো মোদির মন্ত্রিসভায়। এই মন্ত্রিসভায় নতুন করে জায়গা পেয়েছেন ৪৩ জন বিজেপি সাংসদ। নতুন এই সকল বিজেপি সাংসদদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার সাথে সাথে মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের সংখ্যাও এক ধাক্কায় বেড়েছে অনেকটা।
মোদির এই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার পর অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে। যেখানে নতুন এই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী সহ ৭৮ জনকে নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে এই সকল মন্ত্রীদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং কোন কোন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এই রিপোর্ট তৈরি করেছে নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী মন্ত্রীদের দেওয়া তথ্য যাচাই করে। যেখানে বলা হয়েছে মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন তাদের ৯০% মন্ত্রীই কোটিপতি। অর্থাৎ রিপোর্ট অনুযায়ী ৭০ জন মন্ত্রীই হলেন কোটিপতি। এদের মধ্যে আবার চারজন মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার বেশি। আবার এমনও একজন মন্ত্রী রয়েছেন যার সম্পত্তির পরিমাণ ৩ শতাধিক কোটি টাকার বেশি।
সমীক্ষায় যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া নতুন মুখ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৯ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি যারা রয়েছেন এই কোটিপতির তালিকায় তারা হলেন পীযূষ গোয়েল। পীযূষ গোয়েলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯৫ কোটি টাকা। নারায়ণ রাণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭ কোটি টাকা। রাজিব চন্দ্রশেখরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪ কোটি।
তবে এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন তাদের সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র কয়েক লাখ টাকা। এদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা, যার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লাখের বেশি। ত্রিপুরা থেকে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ লাখের কিছু বেশি। এছাড়াও রাজস্থানের কৈলাস চৌধুরি এবং ওড়িশার বিশ্বেশ্বর টুডুর সম্পত্তির পরিমাণ নামমাত্র।