নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। লক্ষ লক্ষ মানুষ দৈনিক আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর পথযাত্রী হতে হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যায়নি, এখনো পর্যন্ত দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এমত অবস্থায় কেন্দ্রকে আরও কড়া হতে দেখা গেল।
সম্প্রতি অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করে জানিয়েছে, একাধিক রাজ্যে দেদার আনলক প্রক্রিয়া চালানোর ফলে লংঘন হচ্ছে করোনা বিধির। দেশে এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের আশেপাশে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি চিঠি দিয়ে শাহের স্পষ্ট বার্তা, কোথাও কোন রকম করোনা বিধি বিঘ্নিত হলে তার জন্য দায়ী হবে কর্তৃপক্ষ। আর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে R ফ্যাক্টর। যে কারণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। মূলত করোনাবিধি না মেনে চলার কারণেই এই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের এই বিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার না করা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই ঘটনার পরেই রাজ্যগুলিকে চিঠি দিলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যে চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রেস্তরাঁ, শপিংমল, বাসস্ট্যান্ড বা অন্য কোনো জায়গায় বিধি না মানা হলে তার জন্য দায়ী হবে কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, R ফ্যাক্টর একের বেশি হলেই উদ্বেগজনক। তাই তা একের নিচে থাকাকালীনই যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই দেশ তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির মধ্যে রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশে এই ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। আর তার আগে বিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটলে সেই পথ আরও প্রশস্ত হবে। তাই যাতে সমস্ত রকম বিধি মেনে চলা হয় তারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।