নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে ধীরে ধীরে বের হচ্ছে দেশ। তবে সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে দেশের নাগরিকদের ফের একবার সতর্ক করা হলো। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যেভাবে উদ্বেগ বাড়ছে সেই কারণেই এই সর্তকতা। একাধিকবার সর্তকতা জারি করার পরেও শুক্রবার এ নিয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল জানান, “আমাদের করোনা সংক্রমণ রুখতে হবে। ঠিকমতো যদি বিধিনিষেধ মেনে চলা হয় তাহলে এই সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব। এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা এখনো হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছায়নি। আবার বাড়তে পারে সংক্রমণ। কিন্তু আমাদের এবার তা থামাতেই হবে।”
হার্ড ইমিউনিটি সম্পর্কে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই সর্তকতা দেওয়ার পাশাপাশি যাতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে না পড়ে তার জন্য আগামী ১২৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল। এই কয়েকটা দিন খুবই সংকট পূর্ণ হতে চলেছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে শুধু কেন্দ্র সরকার নয়, ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায় শুরু হয়ে গিয়েছে এমনটা জানানোর পাশাপাশি প্রতিটি দেশকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রসঙ্গত, যখন নির্দিষ্ট কোনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে বিশাল এলাকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তখন তাকে হার্ড ইমিউনিটি বলে। এই হার্ড ইমিউনিটি আসতে পারে টিকাকরণ অথবা প্রাকৃতিক দুই পর্যায়েই। আর এই ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে কতদিন সময় লাগবে তা সম্পর্কে এখনও বিশেষজ্ঞরা কিছু জানাতে পারেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হলে এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়া যাবে।