নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রায় তিন মাস হতে চলল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়া। এই নির্বাচনে বিজেপি যেমনটা প্রত্যাশা করেছিল ফলাফলের ক্ষেত্রে তার ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেনি। আর এই হারের কারণ হিসাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায় অনেকেই নানান মন্তব্য এবং পর্যালোচনা পেশ করেছেন। তবে এবার আর খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শোনালেন দলের এমন ভরাডুবির কারণ।
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন চন্ডিপুরে একটি সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির ভোট হারের কারণ উল্লেখ করতে শোনা যায়। হারের কারণ বলতে গিয়ে তিনি উদাহরণ তুলে ধরে জানান, “অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রাজ্যে ২৯৪ এর মধ্যে ১৭০-১৮০ সিট পেয়ে যাব, খেজুরি নন্দীগ্রাম, ভগবানপুর, নন্দকুমার জিতে যাব, চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক (এই কেন্দ্রে জিতেছেন তৃণমূলের সোহম চক্রবর্তী)। এই আত্মতুষ্টির কারণেই আমাদের পরাজয় ঘটেছে।”
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “আপনারা অনেকে, নিজেদের প্রার্থীর সম্পর্কে খারাপ কথা বলেছেন। নিজেরা অনেকেই আত্মতুষ্টিতে ভুগেছেন। ভেবেছেন জেলায় ১৬ টা সিট, রাজ্যে ২৯৪ সিট। ১৭০-৮০ তো হয়ে গিয়েছে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিছে, ভগবানপুর তো জিতে গেছে, নন্দীগ্রাম তো জিতে গেছে, আমারটা হারলে হারুক। এই করতে গিয়ে হেরেছেন।”
অন্যদিকে মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে এই সাংগঠনিক সভায়। যেখানে তিনি কর্মীদের চাঙ্গা করতে বলেন, “অনেকেই ভাবছেন, এ চলে গেল, ও চলে গেল। তাতে কি। মুকুল রায় এর আগে কোনোদিন কোথাও জিতেন নি। ভারতীয় জনতা পার্টি ওই আসনে মুকুল রায়কে সিনিয়র নেতার সম্মান দিয়ে দাঁড় করিয়েছিল। কারণ ওই আসনে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। ওই আসনে সহায়কের কাজ করেন এমন কাউকে দাঁড় করালে ৬০ হাজার ভোটে জিততে পারতেন।”
পাশাপাশি মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা যায় তার মুখ থেকে। তিনি বলেই দেন, “ছেলের ব্যবসা রক্ষা করতে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। এতে আমাদের কি?”