নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা পরিস্থিতির জন্য ব্রিগেডে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালন করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ব্রিগেডে না হলেও ভার্চুয়ালি বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন কোনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশের ভাষণ যাতে শোনা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়। আর এই একুশের মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চব্বিশের ডাক দিলেন।
১) বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস। করোনার থেকেও বিপদজনক সব ভাইরাস রয়েছে বিজেপিতে। সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করবো পেগাসাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে।
২) সবাই মিলেমিশে আমরা ইউনাইটেড ইন্ডিয়া করতে চাই। যতদিন বিজেপিকে দেশ ছাড়া করতে না পারি ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। দেশের প্রত্যেক জায়গায় খেলা হবে।
৩) বাংলায় ভোট পরবর্তী কোন হিংসা হয়নি। যা হয়েছে ভোটের আগে। বিজেপির সদস্য মানবাধিকার কমিশনে বসে ভুলভাল রিপোর্ট দিচ্ছে।
৪) প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে চলবে এই আন্দোলন।
৫) মোদিকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, মহব্বত কাম সে হোতা হ্যায় মোদিজি, মন কি বাত সে নেহি। বিজেপির মগজে শুধু মরুভূমি। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করে নি। করোনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ন্ত্রণ না করে আপনি বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন।
৬) গোটা দেশে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। আর আমরা বাংলার পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ ঋণ টাকা করে দিচ্ছি। কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিই।
৭) দেশে ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরি করার আহ্বান জানান মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, আমাদের একটাই স্বার্থ, মানুষকে বাঁচানো, দেশকে বাঁচানো, সব রাজ্যকে বাঁচানো। আমাদের এক হতে হবে। লক্ষ্য ২০২৪। আড়াই বছর বাকি।
৮) ক্ষমতায় এলে সারাদেশে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনি কটা রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেন প্রধানমন্ত্রী? আমাদের জোট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়।”