নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সেমি হাইস্পিড ট্রেন যার নাম দেওয়া হয়েছে বন্দে ভারত ট্রেন। অটোমেটিক ডোর, স্লাইডিং ফুটস্টেপ, বড় প্যান্ট্রি, মডিউলার বায়ো টয়েলেট, পুরোপুরি সিল করা গ্যাঙ্গওয়েস, ইউরোপীয় স্টাইলের বসার জায়গা, অন বোর্ড ইনফোটেনমেন্ট স্ক্রিন, এয়ারক্রাফ্টের মতো এলইডি লাইটিং সহ আরও একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে এই ট্রেনগুলি।
আগামী বছর অর্থাৎ স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে আগস্ট মাসেই দেশের ৪০টি জায়গাকে ১০টি এমন ট্রেন দিয়ে জুড়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দৌড়াচ্ছে কেন্দ্র। তবে এর আগেই ২০১৯ সাল থেকে এই বন্দে ভারত ট্রেনের পথ চলা শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতে। ভারতে এখনো পর্যন্ত দুটি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। যে দুটি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে তাদের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। কেন্দ্রের পরিকল্পনা রয়েছে দেশজুড়ে খুব তাড়াতাড়ি ১০০টি এই ধরনের ট্রেন চালানোর। ২০২৪ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চায় ভারত সরকার।
তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে যে ১০টি বন্দে ভারত ট্রেন চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তার জন্য এই ট্রেন প্রস্তুতকারী সংস্থা মেধা সার্ভো প্রাইভেট লিমিটেডকে দ্রুত কাজ সেরে ফেলার টার্গেটও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই তৎপরতা দেখে স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে কোন কোন এলাকায় এই ১০টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে অথবা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে এখনই কিছু ঘোষণা করা না হলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে শুরুটা হবে দিল্লি থেকেই। তারপর আগ্রা, কানপুর, প্রয়াগরাজ। পরে ধীরে ধীরে দেশের সর্বত্র এই অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তির ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র।