এই কারণে তেলেঙ্গানার রামাপ্পা মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করলো ইউনেস্কো

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : তেলেঙ্গানা রামাপ্পা মন্দিরের নাম ভারতের তথা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কাছে পরিচিত। এই মন্দিরটি রামাপ্পা ছাড়াও রুদ্রেশ্বর মন্দির নামে পরিচিত। সম্প্রতি এই মন্দিরকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ বা বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। ৮০০ বছরের বেশি আগ্রহ তৈরি এই মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানায় ভারত সরকার। ভারত সরকারের সেই আবেদন কে সমর্থন করে বিশ্বের ১৭টি দেশ। এই মন্দিরকে হেরিটেজ ঘোষণা করার মূলে রয়েছে বেশ কতকগুলি কারণ।

তেরোশো শতকে তৈরি এই মন্দির শিল্পকলার জন্য অন্যান্য মন্দিরের থেকে আলাদা দাবি রাখে। মন্দিরের সামগ্রিক ভাস্কর্য এবং মন্দিরের গায়ে খোদাই করা সূক্ষ্ম শিল্পকর্ম এই মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনকালে এই ধরনের বিশাল বিশাল নির্মাণের ক্ষেত্রে কি ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হত তার ধারণা পাওয়া যায় এই মন্দির থেকে।

জানা গিয়েছে, মন্দিরের নিচের অংশ লাল বেলে পাথর দিয়ে তৈরি। তবে ভিত তৈরি করা হয়েছে স্যান্ডবক্স টেকনিক ব্যবহার করে। মন্দিরের বিশাল বিশাল থামগুলি তৈরি করা হয়েছিল ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে। এমনকি মন্দির নির্মাণের জন্য এমন বেশ কিছু পাথরের ব্যবহার করা হয়েছে যা ওজনে এতটাই হালকা যে জলে ভাসতে পারে। মন্দিরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে কাকতীয় শিল্পশৈলীয় নকশা ও মূর্তি। মন্দিরটি নির্মাণ করতে ৪০ বছরের বেশি সময় লেগেছিল বলে জানা যায়।

https://youtu.be/lhkobvgjLRk

মন্দিরটি রয়েছে হায়দ্রাবাদের ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ছোট্ট গ্রাম পালমপেটে। মন্দিরটি হলো একটি শিবের মন্দির। যেখানে পুজো করা হয়ে থাকে রামালিঙ্গেশ্বরের। কাকতীয় রাজবংশের শাসনকালে এই মন্দির দর্শন করতে এসেছিলেন ইটালিয় পর্যটক মার্কো পোলো। তিনি সেই সময়ই এই মন্দির দর্শন করে অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি এই মন্দিরটি পরিদর্শন করে মন্দিরের নক্ষত্রপুঞ্জের সর্ববৃহৎ নক্ষত্র বলে অভিহিত করেছিলেন।