ফেসবুকে খোলা চিঠি, দল ছাড়লেন বাবুল সুপ্রিয়

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক ধরেই বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খোয়া যাওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার রাজনীতি থেকে দূরে থাকার ইঙ্গিত দিতে দেখা যাচ্ছিল তাকে। অবশেষে শনিবার সেই সকল জল্পনাকে সত্যি করে পাকাপাকিভাবে দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন তিনি। তবে আলবিদা জানানোর আগে লম্বা-চওড়া খোলা চিঠি রেখে গেলেন তার অনুগামীদের জন্য।

Advertisements

খোলা চিঠিতে তিনি স্পষ্ট করে জানান, দল ছাড়লেও দলবদলের কোন সম্ভাবনা নেই তাঁর। বরং তিনি সমাজসেবার জন্য রাজনীতি থেকে দূরে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “সমাজ সেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়। আগে একটু গুছিয়ে নিই তারপর…। আমাকে সিপিআইএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কেউ ডাকেনি। সুতরাং আমি কোথাও যাচ্ছি না, রাজনীতিকেই বিদায় জানালাম।”

Advertisements

আর এই রাজনীতিকেই বিদায় জানানোর সাথে সাথে স্বাভাবিক ভাবেই একটি প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি তার খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, সাংসদ পদ থেকে অবিয়েসলি ইস্তফা দিচ্ছি।’

Advertisements

এর পাশাপাশি এই খোলা চিঠিতে বাবুল সুপ্রিয় তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “২০১৪ আর ২০১৯ -এর মধ্যে অনেক ফারাক। তখন শুধু বিজেপির টিকিটে আমি একাই ছিল (With due respect to Ahluwaliaji – GJM was BJP’s ally in the Darjeeling seat) কিন্তু আজ বাংলায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। আজ পার্টিতে অনেক নতুন Bright তরুণ তুর্কী নেতা যেমন আছে তেমনি অনেক প্রবীণ বিদগ্ধ নেতাও আছেন। এঁদের নেতৃত্বে দল এখান থেকে অনেক দূর যাবে এটা বলাই বাহুল্য। বলতে দ্বিধা নেই যে আজ পার্টিতে কোনও একজন ব্যক্তি বিশেষের থাকা না থাকাটা যে কোন বড় ব্যাপার নয় তাও স্পষ্ট হয়েছে এবং এটা মেনে নেওয়াটাই যে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে এটাই আমার দৃঢ়, সুদৃঢ় বিশ্বাস!”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন। দুইবারই তাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদে বসানো হয়েছিল। কোন বাড়ি পূর্ণমন্ত্রীর জায়গা পাননি। আর এবার মন্ত্রীত্বের সময়কালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়। আর এই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর পর এদিন তিনি নিজেই রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়ালেন।

Advertisements