নিজস্ব প্রতিবেদন : নিম্নচাপের কারণে দিন দুয়েক ধরেই মুষলধারে বৃষ্টি দেখেছে বীরভূম। এই বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকভাবেই জলস্তর বেড়েছে বীরভূমের অধিকাংশ নদ-নদীর। নদ-নদীগুলির জলস্তর বাড়ার সাথে সাথে একাধিক জলাধার থেকে শুরু হয়েছে জল ছাড়ার প্রক্রিয়া। আর এই সকল জলাধার থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই অন্যান্য নদীর মতোই কুয়ে নদীর জল বাড়তে থাকে। সাতসকালেই ডুবে যায় লাভপুর থেকে বোলপুর যাওয়ার রাজ্য সড়কের ওপর থাকা লাঘাটা সেতু। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর রূপ নিতে শুরু করে। লাভপুরের লাঘাটা ব্রিজ থেকে ঠিবা পর্যন্ত কুয়ে নদী ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতি দেখে সকাল থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যখন তখন ভেঙে যেতে পারে নদী বাঁধ।
তবে সেই নদী বাঁধ ভাঙ্গা থেকে রক্ষা করার জন্য গ্রামের বাসিন্দারা সর্ব প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতেও রক্ষা করা যায়নি। দুপুর নাগাদ হঠাৎ কাঁদরকুলো গ্রামে ভেঙে যায় কুয়ে নদীর বাঁধ। কূল ভেঙ্গে ঝড়ের গতিতে জল ঢুকতে শুরু করে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এই নদী বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে দুই থেকে তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গেছে। তিনশোরও বেশি গ্রামবাসী আটকে পড়েছে গ্রামের মধ্যেই।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনিকভাবে গ্রামের বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার কাজ শুরু করা হয়। লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ নিজে এলাকায় হাজির হন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজে তৎপর হোন। তিনিও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেই নদীর জল আটকানোর জন্য গ্রামবাসীদের সাথে হাতে হাত লাগিয়ে ছিলেন। তবে প্রকৃতির এই দংশন থেকে কোনোভাবেই রক্ষা করা যায়নি এলাকাকে।