নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে গত বছর থেকেই উঠে পড়ে লেগেছে দেশের শীর্ষ আদালত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতের এই পদক্ষেপ শুরু হয়। আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়, ভোটে দাঁড়ানো কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো রকম অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে কিনা তা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনতে হবে। আর এবার এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আরও এক ধাপ এগোলো। ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীর কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে কিনা তা সামনে আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার আদালতে তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, কোন রাজনৈতিক দল কোন দলের প্রার্থী হলে তাকে এবং তার দলকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে কিনা তা প্রকাশ্যে আনতে হবে। মূলত ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত তারই কিছুটা পরিবর্তন করলো বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ।
গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আদালত এই সংক্রান্ত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছিল কেউ প্রার্থী হলে ৪৮ ঘন্টা অথবা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ২ সপ্তাহ আগে ক্রিমিনাল রেকর্ড জানাতে হবে। আর এবার আদালতের নির্দেশ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই সকল সমস্ত খুঁটিনাটি রেকর্ড প্রকাশ্যে আনতে হবে।
রাজনীতিতে অপরাধীদের যোগ নিয়ে বিতর্ক আজ নতুন কিছু নয়। আর এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের এমন নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। আদালতের আগেই নির্দেশ দিয়েছিল প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের ওয়েবসাইটে তাদের প্রার্থীদের অপরাধ সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। পাশাপাশি বহুল প্রচলিত দুটি সংবাদপত্রে সেই অপরাধের তালিকা বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে।