নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ব উষ্ণায়ন বিশ্বের কাছে সবথেকে চিন্তার কারণ। এনিয়ে আইপিসিসি তথা রাষ্ট্রসংঘের আন্তঃমহাদেশীয় প্যানেল রিপোর্ট তৈরি করে থাকে। তাদের এই রিপোর্ট চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে কত না অশনি সংকেত ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বের কাছে। আর এরই পাশাপাশি আইপিসিসি-র একটি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রিপোর্ট ভারতের জন্য আরও সংকটপূর্ণ ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দিলো।
মূলত বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে যেভাবে সমুদ্রের জল স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ভবিষ্যদ্বাণী। আর এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়িত হলে আগামী ২১০০ সালের মধ্যেই ভারতের অন্ততপক্ষে ১২টি শহর চলে যাবে জলের তলায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমুদ্র তীরবর্তী এই শহরগুলির কোনরকম চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যদি এই ভবিষ্যদ্বাণী ঠিক না হয় তাহলেও এই শহরগুলি এই সব শহরগুলি শেষ হতে না হতেই জলে অন্ততপক্ষে তিন ফুট ডুবে যাবে।
এই ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় রয়েছে ভারতের বড় বড় মুম্বই, চেন্নাই, কোচি এবং বিশাখাপত্তনমের মতো শহরের নাম। পূর্বাভাসজনিত এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, NASA, আইপিসিসি-র আগের রিপোর্টটিকে ভিত্তি করে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বিশ্বের কোন কোন দেশের কোন কোন শহর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির হারের তুলনায় এশিয়ার সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির হার বেশি। এমন পরিবর্তন আগে ১০০ বছরে একবার হত, তবে এখন ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৬ থেকে ৯ বছর অন্তর একবার করে হবে।
হিন্দুকুশ হিমালয় পার্বত্য এলাকায় দ্রুতগতিতে গলে যাচ্ছে হিমবাহ। আর এই দ্রুতগতিতে হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের যে ১২টি শহর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেই শহরগুলি হল কান্ডলা, ওখা, ভাবনগর, মুম্বই, মার্মাগাও, ম্যাঙ্গালোর, কোচিন, পারাদ্বীপ, খিদিরপুর, বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই এবং তুতিকোরিন।