নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০ বছর ক্ষমতায় না থেকেও আয়ের নিরিখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে হারিয়ে দিলো সিপিএম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট করেও একটিও আসন থেকে জয়লাভ করতে পারেনি তারা। অথচ সেই জায়গায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩। তবে আসন সংখ্যা হারালে অথবা বাড়লেও আয়ের খতিয়ানে তৃণমূলকে হারিয়ে দিল সিপিএম।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়ে থাকে। সেই হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দলের বাৎসরিক আয় অনুযায়ী তৃণমূলের থেকে ১৫ কোটি টাকা বা তার কম বেশি এগিয়ে রয়েছে সিপিএম। এই দুই রাজনৈতিক দলই দেশের দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এবং সিপিএম ক্ষমতায় রয়েছে কেরালায়।
চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে ২০১৯-২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। সেই হিসাব অনুযায়ী তৃণমূল তাদের আয় দেখিয়েছে ১৪৩ কোটি ৬৭ লক্ষের কিছু বেশি। অন্যদিকে গত বছর নভেম্বর মাসেই সিপিএমের তরফ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সেই হিসাব অনুযায়ী তাদের আয় ১৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সিপিএম আয়ের দিক থেকে তৃণমূলের তুলনায় ১৫ কোটি টাকা বেশি এগিয়ে রয়েছে। একই ভাবে ওই অর্থবর্ষে তৃণমূল খরচ করেছে ১০৭ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা এবং সিপিএম খরচ করেছে ১০৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
তবে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সেই বছর তৃণমূলের আয় ছিল ১৯১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে সিপিএমের আয় ছিল ১০০ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সিপিএমের তুলনায় ওই অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ৯০ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বেশি ছিল। আবার সিপিএম সেই বছর খরচ করেছিল ৭৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তৃণমূল খরচ করেছিল মাত্র ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।
অন্যদিকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির নিরিখে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে টেক্কা দিয়েছে। ২০১৯-২০ সালের হিসাব অনুযায়ী বিজেপি মোট আয় করেছে ৩৬২৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে আবার তারা ২৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে কেবলমাত্র ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে। অন্যদিকে কংগ্রেসের মোট আয় হয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা।