নিজস্ব প্রতিবেদন : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটলেও বিক্ষোভের ঘটনা সমাপ্তি নেই। আবারও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটলো বীরভূমের একটি স্কুলে। এবারের বিক্ষোভের কারণ হলো আবেদন করা পরীক্ষার্থীদের সবার নম্বর বাড়েনি। গুটিকয়েক পরীক্ষার্থীদের নম্বর বেড়েছে, বাকিদের কেন বাড়েনি এই প্রশ্ন তুলেই বিক্ষোবের সামিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাটের রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে। এই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশ শুক্রবার স্কুলে চড়াও হন তাদের নম্বর বাড়ানোর দাবিতে। স্কুলের পড়ুয়াদের দাবি, তারা তাদের নম্বরে অসন্তুষ্ট থাকার দরুন রিভিউ করার আবেদন জানান। মোট ৩২৩ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছিলেন। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে নম্বর বেড়েছে মাত্র ৩৯ জন পড়ুয়ার। এখানে ক্ষোভ পড়ুয়াদের।
তাদের দাবি, “আমরা আবেদন করেছিলাম ৩২৩ জন পড়ুয়া। অথচ নম্বর বেড়েছে মাত্র ৩৯ জনের। ওদের যদি নম্বর বেড়ে থাকতে পারে তাহলে আমাদের কেন বাড়লো না। আমরা তো প্রথম থেকেই দাবি করে আসছি নিয়ম অনুযায়ী যে নম্বর দেওয়া হয়েছে তাতে নম্বর কম রয়েছে। আমরা চাই আমাদেরও নম্বর বাড়ানো হোক।”
এই সকল দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ওই পড়ুয়ারা এবং তাদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে গৃহবন্দী করে রাখেন। যদিও পরে রামপুরহাট থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমি সোমবার পুনরায় কাউন্সিলে যাব এই সকল পড়ুয়াদের দাবি নিয়ে’।
প্রসঙ্গত, এই স্কুলে বিক্ষোভের এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও প্রধান শিক্ষককে তার রুমে তালা দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আর বারংবার এমন ঘটনা ঘটায় স্কুলের শিক্ষকরা নিজেরাই হতাশ হয়ে পড়েছেন।