নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে দেশের উন্নতি নিয়ে ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লার ভাষণ রাখেন। এই ভাষণে উঠে আসে দেশের অগ্রগতির কথা। পাশাপাশি উঠে আসে আগামী দিনে দেশ কোন কোন দিকে এগোতে চলেছে বা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ থেকে উঠে আসা দেশ সম্পর্কিত দশটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
১) মেয়েদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সেনা স্কুল। এযাবত এই সকল সেনা স্কুলগুলিতে কেবলমাত্র ছেলেরাই পড়াশুনা করতে পারতেন। টোকিও অলিম্পিকে মেয়েদের অভূতপূর্ব ফলাফলকে কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন দেশের প্রতিটি স্কুলে মেয়েদের পড়াশোনা করার ছাড়পত্র দিলেন।
২) ভারত বর্তমানে তিন বিলিয়ন ডলারের মোবাইল রপ্তানি করছে। দেশীয় পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে কর ছাড় সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
৩) দেশের ক্ষুদ্র চাষীদের উন্নতিই হলো আসল লক্ষ্য, জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সকল কৃষকদের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প আগেও এনেছে, আগামীদিনেও আনবে।
৪) দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়ার জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি খরচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করলেন ‘প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি’। আগামী ৭৫ সপ্তাহে দেশের প্রতিটি কোনা জুড়তে চলেছে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেনের মাধ্যমে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রাস্তার রেললাইন সবেরই উন্নতি করা হবে এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে।
৫) কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ফিরছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন।
৬) আগামী ২৫ বছরের মধ্যে দেশে কোন রকম পরিকাঠামোর অভাব থাকবে না। আগামী ২৫ বছরে ভারতে আসবে ‘অমৃত কাল’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন।
৭) আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকদেরও যোগদান প্রয়োজন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৮) আয়ুষ্মান ভারত, উজ্জ্বলা যোজনা, পেনশন যোজনা, আবাস যোজনা সহ অন্যান্য যেসকল সরকারি প্রকল্পগুলি রয়েছে সেগুলি দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে।
৯) করোনা মোকাবিলায় দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভূয়শী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি তিনি জানান এখন পর্যন্ত ৫৪ কোটির বেশি মানুষকে টিকাকরণ করা সম্ভব হয়েছে।
১০) দেশভাগের যন্ত্রণাকে কোনভাবেই মুছে ফেলা যায় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতি বছর ১৪ আগস্ট ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা করলেন।