নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্ব নেন নবনিযুক্ত সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আর এই দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই তিনি ইঙ্গিত দিলেন উচ্চমাধ্যমিকে একাধিক রদবদলের বিষয়ে। মূলত সিবিএসই, আইসিএসসি-র মতই ধাঁচ আনার মত ইঙ্গিত মিললো তার থেকে।
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য্য মনে করেন, পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন একটি পরীক্ষার মাধ্যমে না করে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তাতে অনেক বেশি মেধার ভিত্তিতে একজন পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা সম্ভব।
এই পদ্ধতি আগেই অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই, আইসিএসসি। সিবিএসই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শিক্ষাবর্ষের শেষে দু’ভাগে নেওয়া হবে। প্রথম ভাগের পরীক্ষা হবে ফ্লেক্সিবেল শিডিউলে এবং দ্বিতীয় ভাগের পরীক্ষা কোথায় হবে তা ঠিক করে দেবে বোর্ড। প্রশ্নপত্র হবে দু’ঘণ্টার। মূলত দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং বিদেশেও যে সকল স্কুল রয়েছে সে সকল স্কুলের পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নবনিযুক্ত সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য অবশ্য হুবহু সিবিএসই-র পথে না হাঁটলেও কেবলমাত্র একটি পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন করতে চাইছেন না তিনি। তবে তিনি এখনই এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু আলোচনা করেননি। তার কথায়, একটি পরীক্ষা না করে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা করলে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেক সূক্ষ্ম হবে।
আর এই পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষার স্বপক্ষে মতামত পোষণ করেছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাদের মতে এই পদ্ধতি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রেই নয়, পাশাপাশি এই পদ্ধতি বা ব্যবস্থাপনার ফলে পরীক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নের মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি বর্তমান করোনাকালে পড়ুয়াদের উপর জাতীয় মানসিক চাপ বেশি না পড়ে তার জন্য খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।