নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয় হাসিল করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। ভোটে দাঁড়ানো থেকে জয় হাসিল সবক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। আর বিধায়ক হওয়ার চার মাসের মধ্যে ফের একবার চর্চায় এলেন এই বিজেপি বিধায়ক। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে।
সম্প্রতি একটি খবর থেকে জানা যাচ্ছে, চন্দনা বাউড়ি স্বামী সন্তান ছেড়ে বিজেপির এক কর্মী তথা তার গাড়িচালককে বিয়ে করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। চন্দনা বাউড়ির এমন আচরণে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও এই ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভ করে নিজের বিবৃতিও দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে চন্দনার জীবনযাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যেই তার গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর সাথে নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্বামী এবং সন্তানকে ছেড়ে নাকি চন্দনা গত বুধবার বাড়ি থেকে পালিয়ে বিবাহিত প্রেমিক কৃষ্ণকে বিয়ে করেন। এই ঘটনা কোনো ভাবে জানতে পারেন চন্দনার স্বামী শ্রাবণ। তারপর তিনি গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় যান। অন্যদিকে আবার কৃষ্ণের স্ত্রীও থানার দ্বারস্থ হন। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের থানায় দেখে বিষয়টি মীমাংসা করে বাড়ি পাঠানো হয়।
তবে এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করে জানান, “সম্পূর্ণভাবে কুৎসা রটানোর জন্য এই সব করা হচ্ছে। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝামেলাকে কেন্দ্র করে থানায় গিয়েছিলাম। সেই ঝামেলা মিটিয়ে আজ বাড়ি ফিরলাম। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। বিরোধীদলের নেতা কর্মীরা এই সব অপপ্রচার করছেন।”
অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল জানিয়েছেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার চন্দনা বাউড়িকে চিনি না। তবে আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। ড্রাইভার কিংবা বিজেপির কোনও অবজারভারের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন। কোনও হোটেলে তাঁরা একসঙ্গে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। তারপর থানায় নাকি নিজেদের মধ্যে এই বিষয়ে মীমাংসা করে এখন আবার ঘরে ফিরে গিয়েছেন। তবে কতদিন তিনি ঘরে থাকেন সেটাই দেখার। এটুকু বুঝতে পেরেছি, ছ’মাসও হয়নি তিনি বিধায়ক হয়েছেন। এর মধ্যেই বিজেপি নেতাদের মতো চরিত্র ধরে ফেলেছেন তিনি।”