নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ২০ বছর পর মাত্র ৭ দিনে আফগানিস্তানের ডজন খানেকের বেশি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে তালিবানরা। এই সকল প্রাদেশিক তখন তাদের এসেছে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের প্রদেশগুলিতে। যেখানে তাদের তেমন কোন আধিপত্য ছিল না। যার পরেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কি এমন অস্ত্র রয়েছে তালিবানদের হাতে, যারা নিমেষে আফগান সেনাদের দূর্মুস করে এই দখল নিয়েছে।
তালিবানদের অস্ত্রসজ্জা একেবারে অত্যাধুনিক যা তাদের এই পরাক্রমে বোঝায় বাহুল্য। তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, বায়োমেট্রিক ডিভাইস সহ আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র। যে সকল অস্ত্রশস্ত্র আমেরিকার মত সেনাবাহিনীর সৈন্যরা ব্যবহার করে থাকেন।
তালিবানদের এই বাহিনীতে রয়েছে মোটে ৭০ থেকে ৮০ হাজার সৈন্য। অথচ আফগান সেনার সংখ্যা তিন লাখের বেশি, যারা আবার মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত। তালিবানদের বাহিনীতে সংখ্যা বেড়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী এবং জেলবন্দি আসামিদের নিয়ে। যাদের পায়ে ঠিকঠাক জুতো নেই, আলাদা করে কোনো ইউনিফর্ম নেই। তা সত্ত্বেও এই তালিবানরা কিভাবে আফগান সেনাকে পরাস্ত করলো তা নিয়েই হতচকিত গোটা বিশ্ব।
সামরিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তালিবানদের এই জয় এসেছে মূলত সুপরিকল্পিত রণকৌশলের ফলে। ২০ বছর ধরে তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকার সময়ই জানত কোন না কোন একদিন আমেরিকার সৈন্যরা আফগানিস্তান থেকে সরে যাবে। আর তারা সরে দাঁড়ালেই এই কৌশল প্রয়োগ করে তালিবানরা। প্রাদেশিকগুলির রাজধানীর তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তালিবানদের অতর্কিত হানা সামাল দিতে পারেনি আফগান সেনারা।
এর পাশাপাশি তালিবানরা আফগান সেনাদের থেকে একাধিক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। এই সকল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি একে ৪৭ রাইফেল, এম ৪ কার্বাইন, এম ১৬ রাইফেল ইত্যাদি। এমনকি আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক আধুনিক রাইফেলও রয়েছে তাদের কব্জায়। এছাড়াও তারা আফগান সেনাবাহিনীর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে হামভি সাঁজোয়া গাড়ি। এমনকি ভারতের তরফ থেকে আফগানিস্তানকে উপহার দেওয়া এমআই ২৪ হেলিকপ্টারও এখন তালিবানদের কব্জায়। এছাড়াও আমেরিকার তৈরি ব্ল্যাক হক মিলিটারি হেলিকপ্টারও নিজেদের কব্জায় নিয়েছে তালিবানরা। এই সকল হেলিকপ্টার দিয়ে তারা অন্যান্য প্রদেশ দখল করার সময় এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে।