নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের সেনাপতি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। পরবর্তীতে ভোটে দাঁড়িয়ে প্রথম জয়। জয়ের পরেই ফের প্রত্যাবর্তন তৃণমূলে। তবে এসবের পরেও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, যিনি বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য হিসাবে পরিচিত সেই মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা শেষ নেই। তাকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে সম্প্রতি তার অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং বর্তমান আরও কিছু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
সম্প্রতি মুকুল রায় কৃষ্ণনগরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘উপনির্বাচনে বিজেপি জিতবে। কৃষ্ণনগরে বিজেপির টিকিটের তিনি দাঁড়ালেই জিতবেন।’ এমনকি তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ালে কি হবে সেটা মানুষ ঠিক করবেন’। এই মন্তব্য ঘিরে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
এসবের পাশাপাশি আবার সম্প্রতি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মুকুল রায় নাকি বিজেপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন? আর এসবের পরেই ফের প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মুকুল রায় পুনরায় বিজেপিতে ফিরতে চাইছেন? এই বিষয়টি নিয়েই বুধবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ খুললেন।
বুধবার দিলীপ ঘোষ স্পষ্টট জানিয়ে দেন, “মুকুল রায় বিজেপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি যে স্তরের নেতা তাতে তার সবার সাথে যোগাযোগ রয়েছে। তবে তিনি বিজেপিতে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন কিনা তা জানা নেই।”
তবে মুকুল রায়কে ঘিরে সাম্প্রতিককালের এমন একাধিক ঘটনা, তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা একাধিক মন্তব্য বোঝার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কেবলমাত্র কৌতুক করতেই কি মুকুল রায়ের এহেন মন্তব্য, নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোন সমীকরণ, তা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠছে।
যদিও বিজেপি সম্পর্কে সম্প্রতি মুকুল রায়ের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে তার ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “মাকে হারানোর পর বাবার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। শারীরিক দিক দিয়েও নানান সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাবার কোন কথা কারোর গায়ে না নেওয়াই উচিত। বাবার অনুগামীরা আশা করি বিষয়টি বুঝতে পারছেন।”