নিজস্ব প্রতিবেদন : আফগানিস্তান থেকে তালিবানদের হাঁটিয়ে আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করার পর প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিমান এবং অন্যান্য সাহায্য পাঠিয়েছে আমেরিকা। মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাস দমন করা। তবে সেই লক্ষ্যে সফল হতে পারেনি মার্কিন সেনাবাহিনী। ২০ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ফের একবার আফগানিস্তানের মসনদে বসে তালিবানরা।
আর এই দীর্ঘ সময় পর গতকাল মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে নিজেদের মুলুকে পাড়ি দিয়েছে। আর এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই সকল বিপুল অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র, যুদ্ধবিমান যা তারা আফগানিস্তানে ছেড়ে এলেন সেগুলি তালিবানদের হাতে আসায় ভবিষ্যতে কি হবে? এই দুশ্চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ববাসীকে। তবে অস্ত্রশস্ত্রের বিষয়ে জানা না গেলেও পেন্টাগনের তরফ থেকে এই সকল যুদ্ধ সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত করা হয়েছে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার ফেলে আসা যুদ্ধবিমানগুলি কোন দিন ব্যবহার করতে পারবে না তালিবানরা।
পেন্টাগনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তানের ছেড়ে আসা এই সকল অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলি সেনারা ফেলে আসার আগেই বিকল করে দিয়ে এসেছে। পাশাপাশি বিকল করে দিয়ে আসা হয়েছে রকেট হামলার মোকাবিলা করার বিশেষ ‘রকেট ডিফেন্স সিস্টেম’ গুলিও। মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্ততপক্ষে ৭৩টি যুদ্ধবিমান হামি কারজাই বিমানবন্দরে আগেই আনা হয়েছে। আর এই সকল বিমান চোখের সামনে পড়ে থাকলেও তালিবানরা তা ব্যবহার করতে পারবে না।
মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, “৭৩টি যুদ্ধবিমান ছাড়াও ৭০টি সাঁজোয়া গাড়ি যেগুলি ফেরত আনা সম্ভব নয় সেগুলি দুই সপ্তাহ ধরে উদ্ধার করে কাবুল বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। এই সকল প্রতিটি যুদ্ধবিমান এবং সাঁজোয়া গাড়ি বিকল করে দেওয়া হয়েছে যাতে তালিবানরা সেগুলি পুনরায় আর ব্যবহার করতে না পারে।”
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুদ্ধ বিমানের আমেরিকার আর্থিক ক্ষতির কথা না হয় ছেড়েই দেওয়া হলো। এর পাশাপাশি যে সকল সাঁজোয়া গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করে আফগানিস্তানে ফেলে আসা হয়েছে সেগুলির একটি গাড়ির মূল্য অন্ততপক্ষে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার।