উপনির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইটা কতটা কঠিন, কি বলছে ইতিহাস

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও ফলাফল বের হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। মূলত নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার পর এই কেন্দ্রটি তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যই শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এই পদক্ষেপ নেন।

Advertisements

শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন পুনরায় এই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। প্রত্যাশা মতোই শাসকদল তৃণমূল এই উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে। ভোট রয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এবং গণনা ৩ অক্টোবর।

Advertisements

এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দল যেমন নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপি ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘ভবানীপুরে নন্দীগ্রামের মত অবস্থা হতে পারে’।

Advertisements

একইভাবে অমিত মালব্য খোঁচা দিয়ে টুইট করেছেন, “সামনে হার নিশ্চিত, দেখতে পেয়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হার স্বীকার করতে মমতা ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম পালিয়ে যান। এবার (মমতা) ভবানীপুর থেকে জেতার আশা করছেন কী ভাবে?” তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হাসিল করাটা মোটেই কঠিন হবে না, অন্ততপক্ষে এমনটাই যে বলছে ইতিহাস।

১) ২০১৬ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে খোদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছর তিনি তাঁর নিকটতম প্রার্থী কংগ্রেস সিপিএম জোট দীপা দাশমুন্সিকে ২৫,৩০১ ভোটে হারিয়ে ছিলেন। রাজ্যের সিংহাসনে এই জয়ের পর দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন মালা রায়। ভোটে কেবলমাত্র ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই তিনি এগিয়েছিলেন ৩,১৬৮ ভোটে।

৩) ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য তার নিজের কেন্দ্র ছেড়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নন্দীগ্রামে। পরিবর্তে ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজয়ের মুখ দেখলেও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় মার্জিন বাড়িয়ে জয় হাসিল করেন। এবারের নির্বাচনে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্ধিতায় নামলেও পরাজয়ের মুখে দেখেন।

Advertisements