নিজস্ব প্রতিবেদন : এক ভোটের দাদামা শেষ হতে না হতেই আরেক দাদামা বেজে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। এই ভোট মুখ্যমন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার ভোট। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিধায়ক হতে হবেই। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনের হালাদা তাৎপর্য রয়েছে রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পরই প্রত্যাশা অনুযায়ী ওই কেন্দ্রের জন্য শাসকদল তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছেন। তবে এরপরেই রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহল, মমতার বিরুদ্ধে এই আসনে কে কে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন?
কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রথমে একবার এই আসনে কোন প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। পরে আবার মত পরিবর্তন করে বিনা লড়াইয়ে জমি না ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে ঘোষণা করা হয় প্রার্থী দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের ফের বদল ঘটে। ফের জানিয়ে দেওয়া হয় ভবানীপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না। কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ার ঘোষণা করতেই তাদের জোট সঙ্গী সিপিএম মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত প্রার্থীর খোঁজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এই আসনে মমতার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কাকে প্রার্থী করবেন তা নিয়ে সবথেকে কৌতুহল রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে। আর এই কৌতুহল দূর করতে আপাতত ছয়জন বিজেপি নেতার নাম উঠে এসেছে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। যাদের মধ্যেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে প্রার্থী হিসাবে।
বিজেপির তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যে ছয় জন প্রার্থীর নাম পাঠিয়েছে তারা হলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, তথাগত রায়, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বজিৎ সরকার (কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের দাদা)। জানা যাচ্ছে, এদের মধ্যে কোন একজন এই উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে পাঠানো তালিকা থেকে প্রার্থী বেছে নিয়ে বুধবারই সেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমনটাই জানিয়েছেন। কারণ প্রার্থীর নাম ঘোষণায় বিজেপি আর বিলম্বিত করতে চাইছে না। এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।