নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ঝড় উঠেছিল। তবে শাসকদল তৃণমূল সেই ঝড়কে সামনে নিয়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকারে আসার পরও নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি মমতা।
তিনি চেয়েছিলেন দলের অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক। তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসাবে নতুন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই রহস্য নিজেই ভেদ করলেন বুধবার ভবানীপুর কেন্দ্রে দলীয় কর্মী সভায়। কিন্তু কেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি?
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল রাজ্যে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করলেও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। যদিও এই বিধানসভার ফল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই সকল বিতর্কের জন্য সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি মমতা।
তবে ভোটের ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও দলের জেরাজেরির কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন তা এদিন তিনি তার কথায় স্পষ্ট করে দেন। এই কথা তিনি স্পষ্ট করে দেন ওই কর্মীসভায় সুব্রত বক্সীকে ইঙ্গিত করে একাধিক কথা বলার মধ্যে দিয়ে।
অন্যদিকে এদিন এই কর্মীসভায় তিনি শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনার মূলে রয়েছে, গত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভও করেন। কিন্তু নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।