নীলবাতি গাড়িতে মদের ঠেক ডিএসপির, একটি ভুলেই ঝুলি থেকে বেরলো বেড়াল

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভুয়ো ডিএসপি পরিচয় দিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছিলেন শিক্ষিত এক যুবক। কিন্তু একটি ভুলেই সন্দেহ, আর সেই সন্দেহ থেকেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে বেড়াল। তারপরেই হাতে পায়ে ধরা, অবশ্য হাতে পায়ে ধরেও কোন রক্ষে হয়নি।

বুধবার রাত ১১:১৫ নাগাদ হুগলির চন্দননগরের বক্সি গলিতে স্ট্যান্ড রোডে রানিঘাটের কাছে একটি নীলবাতি লাগানো সাদা স্করপিও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ হলে তারা গাড়ির কাছে যান। সেখানে দেখতে পান দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে মদ্যপান করছেন উর্দি পরা আরও এক যুবক।

নীলবাতি সাদা গাড়ি, উর্দি দেখে পুলিশ জিজ্ঞেস করেন ওই যুবকের পরিচয়। তখন ওই যুবক নিজেকে ডিএসপি বলে পরিচয় দেন। প্রথমে পুলিশ তা নিয়ে অতটা খেয়াল না করলেও একটুর জন্যও সম্ভ্রম হয়, ‘মাঝরাতে এই ভাবে রাস্তায় গাড়িতে বসে বন্ধুদের সাথে পার্টি করবেন একজন পুলিশ অফিসার?’

আর এই সন্দেহ থেকেই পুলিশ ওই যুবককে জেঁকে ধরেন। শুরু হয় আরও তদারকি। আর তাতেই শেষমেষ পুলিশের ভুল ভাঙ্গে। ধরা পড়ে যান ভুয়ো ডিএসপি অফিসার। বুধবার রাতে চন্দননগরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ফের একবার রাজ্যজুড়ে শোরগোল শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই ভুয়ো আইপিএস অফিসার পরিচয় দেওয়া এক যুবতী ধরা পড়েন বীরভূমে। আর এর পর ফের নতুন করে একজন ভুয়ো ডিএসপি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক এবং তাঁর সঙ্গীরা যে গাড়িতে বসে এইভাবে ভুয়ো ডিএসপি অফিসারের পরিচয় দিয়ে মদ্যপান করছিলেন সেই গাড়িটির নম্বর হলো WB 19J 7988। গাড়িটিতে নীলবাতি ছাড়াও লাগানো ছিল হুটার এবং সামনে গভারমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের স্টিকার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম হল সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। বছর তিরিশের এই যুবক বক্সী গলির বাসিন্দা। ওই যুবক একসময় গাড়িও চালিয়েছেন এবং মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজও করেছেন। জেলা প্রশাসনের গাড়ি চালানোর সুবাদে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। তবে বর্তমানে কোন কাজকর্ম করেন না এবং ডিএসপি সেজে ঘুরে বেড়ান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।